কিডনি বিক্রী করে সন্তানদের চিকিৎসা করাতে চান স্বরূপকাঠির এক অসহায় পিতা
হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে দূর্বিসহ ভাবে বেচে আছে দুই বোন মারিয়া ও মুনিয়া। উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ি এলাকার রিকশা চালক মো. মহসিন ও রোজিনা দম্পতির বড় মেয়ে মারিয়ার বয়স ৮ বছর আর ছোট মেয়ে মুনিয়ার বয়স ২ বছর। জন্ম থেকেই তারা দুই বোন বিরল রোগে আক্রান্ত। তাদের শরীরের পুরো অংশের চামড়া ফাটা। ফাটা অংশ দিয়ে রক্ত এবং পানি বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া উঠে যাচ্ছে। সারা শরীর চুলকালে বা যন্ত্রনা করলেও চিৎকার ছাড়া কোন কিছুই করতে পারছেনা তারা। শোয়া বা বসা কোন কিছুই সঠিকভাবে করতে পারছেনা তারা। মো. মহসিন জানান, তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক। রিকশা চালিয়ে যে সামান্য টাকা তিনি আয় করেন তা দিয়ে তিনি তার সংসারই চালাতে পারেন না। তার উপর দুটি মেয়ের এই রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি তার কিছু জমি ও জীবিকা নির্বাহের রিকশাটিকেও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তার অর্জিত টাকা মেয়েদের চিকিৎসা খরচের কাছে অতি নগন্য বলে সঠিকভাবে মেয়েদের চিকিৎসাও তিনি করাতে পারছেন না। কান্নাজড়িত কন্ঠে মহসিন বলেন আমার বড় মেয়েটির বয়স ৮ বছর এই বয়সে সে অন্য সকল মেয়েদের মত স্কুলে যাবে লেখাপড়া করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার এই রোগের কারনে স্কুলে যাওয়াতো দূরের কথা তাদের কাছে অন্য শিশুরা ঘৃনায় আসতে চায়না। পিতা মাতা হয়েও আদর করে ওদের ঠিকমত কোলে নিতে পারছিনা। সন্তানের কষ্ট দেখে বার বার মন চায় নিজের কিডনি বিক্রী করে ওদের চিকিৎসা করাই। ওদের কান্না শুনলে আমার কলিজাটা ছিড়ে যায়। বিত্ববানদের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার সন্তান দুটিকে চিকিৎসার জন্য সাহায্য করে পৃথিবীতে বেচে থাকার সুযোগ করে দিন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তানভীর আহম্মেদ সিকদার জানান, শিশু দুটি ”ইছথিওসিস’’ নামক এক ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত। এ রোগের চিকিৎসা দেয়া তাদের আয়ত্বের বাইরে ।