গৌরনদীতে থামছে না বাল্য বিবাহ ঘর বেধেছে কিশোরী বৃষ্টি

0
(0)


স্টাফ রিপোর্টার,গৌরনদী।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর পালরদী গ্রামের বাল্য বধু বৃষ্টি আক্তার ঘর বেঁধেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ^াস কিশোরী বৃষ্টি আক্তারকে উদ্ধার করে তার অবিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন,কথাছিল পুর্ন বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবে না। কিন্ত সপ্তাহ না যেতেই ১৪ বছরের বৃষ্টি ঘর সংসারও পেতেছেন। অপরদিকে যে সব বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য জড়িমানা মুচলেকা নেয়া হয়েছে,সে বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়নি।
গত ১১ ফেব্রæয়ারি উত্তর পালরদী গ্রামের নুরুল ইসলামের ৭ম শ্রেনী পড়–য়া কিশোরী মেয়েকে (বয়স-১৪বছর ৮মাস ১২দিন)। প্রতিবেশী কাবিল হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার জোড়পুর্বক বারি থেকে নিয়ে যায়। কিশোরীর বাবা স্থানীয়ভাবে অনেকের দারস্থ হয়েও কোন সুরাহা পাননি।
পরে তিনি (নুর ইসলাম) বিষয়টি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ^াসকে জানালে, তিনি কিশোরী বৃষ্ঠিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। পুর্ন বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ হবে না এমন মৌখিক মুচলেকায় কিশোরীকে তার পরিবারে কাছে দেয়া হয়।
এর এক সপ্তাহ পরে আবার ওই কিশোরীকে দেলোয়ার হাওলাদার নিয়ে যায় এবং তারা বিবাহ করে। তাদের পারিবারিক একটি সুত্র জানায় ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে এই বিবাহ হয়েছে। বিবাহের একদিন পরে বালিকা বধু বৃষ্টি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে এবং তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হলে অজ্ঞাতস্থানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ্য করে গত রবিবার রাতে বালিকা বধু বৃষ্ঠিকে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
কিশোরীর বাবা নুর ইসলাম জানান,আমি সুবিচার পাইনি,ইউনো সারসহ এলাকার অনেকের কাছেই গিয়েছি আমার কথা কেই শোনে নাই,আমার মেয়েটাকে ওরা মেরে ফেলবে।
ছেলের বাবা কাবিল হাওলাদার বলেন,এটা প্রেমঘটিত বিষয় ছেলে মেয়ে একা একা বিবাহ করছে আমার কিছু করার নাই।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী প্রসাশন বিভিন্ন জায়গায় জড়িমানা বা মুচলেখা দিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেও আসলে তা বন্ধ হয় না। প্রসাশনের জড়িমানা ও মুচলেকা ঠিক আছে, কিন্তু এই জড়িমানা ও মুচলেকা দিয়েই দায়সারাভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে কোন খোজখবর বা মনিটরিং এর ব্যাবস্থা না থাকায় বাল্য বিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না।
গৌরনদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আহছান উল্লাহ বলেন,আমাদের জানামতে স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করেছেন। কিন্ত তা কার্যকর হয়নি। মুচলেকা জড়িমানা দেয়ার দু-একদিন পরেই আবার বিবাহ হয়ে যায়। প্রশাসনের পরবর্তী কোন মনিটরিং না থাকায় বাল্য বিবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না। বৃষ্টির বেলায়ও তা হয়েছে এখানে ইচ্ছা করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বাল্য বিয়েটি বন্ধ করতে পারত।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ^াস কালের কন্ঠকে বলেন,খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.