পরিবেশের ধ্বংস জীবন মৃত্যুর পার্থক্য-০১

0
(0)

মো.আহছান উল্লাহ।

করোনা মহামারির যন্তনাদায়ক শোকের মিছিলে প্রতিদিন আমাদের অশংখ্য স্বজন,আত্মীয়,বন্ধু প্রতিবেশীদের মাতম ধারাবাহিকভাবে যোগ হচ্ছে।শোকাহতদের শান্তনার ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে।

যেদিকে তাকাই শুধু হাহাকার কোথাও নিরন্যের হাহাকার,কোথায়ও মজলুমের হাহাকার,কোথায়ও গর্ভধারীনীর মায়ের বুকফাটা আর্তনাথ শোনে না ন্যায়ালয় । কোথায়ও নির্মল বায়ুর হাহাকার,কোথায়ও মিঠা পানির হাহাকার। একই সাথে পাচ্ছি বারুদের গন্ধ আলামত চলছে সিরিজ ভুমিকম্পর । অনেকেই আছে তাবু বানানে ব্যস্থ সমগ্র পৃথিবীতে একই চিত্র চিত্রায়িত হচ্ছে বারবার। এ ভাবেই কি চলবে–!

প্রকৃতির নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষ এবং প্রানী জগতের স্বাভাবিক বিকাশ মানব সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু মানুষের অতিভোগ স্পৃহা এবং অপ্রয়োজনীয় বিলাস সেই স্বাভাবিক যাত্রাকে ব্যাহত করেছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। প্রকৃতির সম্পদ প্রয়োজনীয় ব্যাবহারের বদলে লুন্ঠিত হয়েছে। মানুষের ভোগ চাহিদা পুরণে। এই ভোগ চাহিদা পুরণের প্রয়োজনে প্রকৃতি লুন্ঠনের অনুষঙ্গি হয় রাসায়নিক সার ও প্রাণঘাতী কীটনাশক । আমাদের অগোচরে ভয়াবহ হচ্ছে ই-বর্জ যার ধাক্কা শুরু হয়েছে গ্রামীন জনপদেও।

মানুষের আশ্রয়ে প্রকৃতি যখন বিপর্যস্ত হয়,তখন আশ্রিত মানুষের অবস্থাও হয় নাজুক নাজেহাল ও বিপর্যয়কর । করোনার মত মহামারিসহ নানা রোগ,শোক,সন্তাপ মানুষকে করে তোলেছে প্রকৃতির বন্ধনহীন উন্মুল প্রান প্রজাতি। এই মহা-বিপর্যয়ের সময়ে দুনিয়াব্যাপী আবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যাবার তাগিদ বোধ করছে মানব সম্প্রদায়।

গ্লোবাল পাবলিক পণ্যগুলি সার্বভৌম মালিকানাধীন পণ্য নয় ।আমাদের কার্বন-চালিত খরচ অস্থায়ী নয় এর সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা পরিবেশকে পণ্য হিসাবে বিবেচনা করি: মানবসমাজের সুবিধার জন্য এমন কিছু যা শোষণ করা যায়। পরিবেশের পণ্য কেবল মানবতার জন্যই অস্তিত্বহীন ঝুঁকি তৈরি করে না, বরং সংঘাতও সৃষ্টি করে, কারণ রাজ্য এবং সমাজ ক্রমবর্ধমান বিরল প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা অর্জন করার প্রতিযোগিতা করে বা এটিকে এমনভাবে ব্যবহার করে যা অন্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে——–।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.