১. ব্রণের সহজলভ্য কিছু প্রতিকার ব্যবহার করতে পারেন: ব্রণ দূর করার জন্য প্রচলিত কিছু ফেসওয়াশ বা একনি ট্রিটমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যেগুলো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দরকার হয় না। বেশ কম দামে কিনতে পারেন এসব ফেসওয়াশ। অনেকে ভাবেন দাম বেশি হলে সেগুলো বেশি কার্যকর হবে। আসলে কিন্তু তা নয়।

২. ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন: অল্প কিছু ব্রণের জন্য ঘরোয়া উপায় গুলি বেশি কাজে লাগে। যেমন টি ট্রি অয়েল। ব্রণের ওপর কটন বাড দিয়ে মেখে দিলে তা সাধারণত তরুণদের ব্রণ দূর করতে কাজে আসে। টি ট্রি অয়েল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা কিনা ত্বকের জীবাণু দূর করার মাধ্যমে ব্রণ ভালো করে। এছাড়া লেবুর রসও ত্বকের জন্য বেশ কাজে আসে।

৩. ব্রণের উপদ্রব বেশি হলে ডাক্তার দেখান: তরুণ-তরুণীর ব্রণের বিষয়ে বিব্রত থাকে। তারা কারো সঙ্গেই এ নিয়ে কথা বলতে চায় না। কিন্তু ব্রণের উপদ্রব বেশি হলে ত্বকের ডাক্তার অর্থাৎ ডার্মাটোলজিস্ট দেখানো উচিত। নয়তো স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে মুখে।

৪. জেনে নিন কি ধরনের ব্রণের উপদ্রব হচ্ছে: কিছু ব্রণ ত্বকের ইনফেকশন এর চিহ্ন। তাই এগুলো সারাতে সময় বেশি লাগে। মূলত ৫ ধরনের টিনেজ একনে আছে-

কমেডোন : এ ধরনের ব্রণকে আমরা চিনি হোয়াইট হেডস বা ব্ল্যাক হেডস নামে। এগুলো তেমন ব্যথা হয় না। ত্বকের রোমকূপ আটকে গেলে কমেডোন তৈরি হয়। এর ভিতরে ঢুকে গেলে তখন বড় ব্রণ তৈরি হয়।

প্যপিউল: রোমকূপ আটকে গিয়ে যখন এতে বেশি ময়লা আটকে যায় তখন তা কালচে ফোলা ব্রনের আকার ধারণ করে। একেই পপিউল বলে।

পস্টিউল : এগুলোকে আমরা ব্রণ বলে চিনি। এগুলি হলো লালচে ব্রন যার উপর দিয়ে সাদা পুঁজ জমে থাকে।

নডিউল: নডিউল এক ধরনের ব্রণ। এগুলো ত্বকের ভেতরের দিকে শক্ত হয়ে থাকে এবং ক্ষতের মতো দেখা যায়।

সিস্টিক: সিস্টিক একনেও বেশ গুরুতর। এগুলো ত্বকের ভেতরের দিকে থাকে এবং এ থেকে ত্বকে দাগ হতে পারে। তবে তা শক্ত নয় বরং এর ভিতরে পুঁজ থাকতে পারে।

৫. সাবধানে মুখ ধুতে হবে: বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত মুখ ধোয়া টাও অনেক সময় ব্রণের কারণ হতে পারে। আলতো হাতে দিনে কয়েকবার কোন সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। মুখ ধোয়ার জন্য কোমল কুসুম গরম জল এবং একটি তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন।