মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে অমানুষিক নির্যাতণ

0
(0)

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবীতে নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামে রিনা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূঁর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতণ চালিয়েছে তার স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় রিনা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী বাদল (৩৫), শ^শুর ফজলুল হক হাওলাদার (৫৫), শ^াশুরী রাবেয়া বেগম (৫০) ও ননদ জেসমিনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদুরা গ্রামের আলম হাওলাদারের মেয়ে রীনা বেগমকে ১২ বছর আগে পাশর্^বর্তী নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারে ছেলে বাদল হাওলাদারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৯ বছর বয়সী একটি পুত্র ও ৫ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তোনের জন্ম হয়। বিয়ের প্রথম দিকে বাবার কাছ থেকে ব্যবসার জন্য স্বামি বাদলকে ১ লাখ টাকা এনে দিলে বাদল ওই টাকা নষ্ট করে ফেলে। এর পরে বাদল পুণঃরায় আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। রিনা বেগমের বাবা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রিনা বেগমের ওপর নেমে আসে শাররীক ও মানুষিক নির্যাতণ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার রাতে যৌতুকের দাবিতে তাকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এক পর্যায়ে স্বামি বাদল রিনা বেগমকে জবাই করতে গেলে শিশু দুটির আত্ম চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। এসময় রিনা বেগমকে মৃত ভেবে তারা স্বামি বাদল জনৈক ওলিউল ইসলামকে মুঠোফোনে রিনা অসুস্থ্য বলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় দু‘জন চৌকিদার সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই গৃহবধূঁ গত ৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুজ্জামান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.