মমতাময়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনন্য অসাধারন একজন নেত্রী

0
(0)

আহছান উল্লাহ

যেদিন সে এই পৃথিবীতে এসেছিলে, সেদিন চোখ দুটো মেলে দেখেছিলে মাকে। সেইদিন থেকেই মা সারাক্ষণ জড়িয়ে রাখতেন তার মমতার আঁচলে তার নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলি বসার যোগ্য কারণ রয়েছে। অতুলনীয় মমত্ববোধ এবং ভালোবাসার অনুভব ও উপলব্ধিতে মা । মা এক অক্ষরের একটি শব্দ  কিন্তু তাৎপর্য ব্যাপক আমি তাকে মায়ের সাথেই তুলনা করছি আর তিনি হলেন ভারতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচক্ষন রাজনীতী আর স্বদেশ প্রেমের এক নির্ভেজাল কান্ডারি ।  ভারতে তারমত রাজনিতিক অপ্রতুল তারমত রাজনিতিককে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম গোলমেলে কথা বললেও আমি তাকে মায়ের আসনে বসালাম। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সাদা তাঁতের শাড়ি পরতে ভালবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েও দক্ষিণ কলকাতার ঘিঞ্জি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে টালির বাড়িতে থাকেন মমতা। অল্প বৃষ্টিতেই তার বাড়ির সামনে পানি জমে যায়। তখন মমতাকে দেখা যায় বাড়ির সামনে পাতা ইঁটের উপর পা রেখে হাঁটতে। দুঃসময়ে যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের কখনও ভোলেন না মমতা। মমতা বহু কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ, এমনকী উপন্যাসও লিখেছেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পীও বটে। তার আকা ছবি বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকার পুরোটাই তিনি দেন পার্টি ফান্ডে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান শুনতে ভালবাসেন। সময় পেলেই শোনেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, পাঠ করেন নজরুলের কবিতা। প্রকৃতিকে খুব পছন্দ করেন মমতা। সততা কি এই ব্যক্তিটির কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া যায়। নিন্দুক ও সমালোচকদের এমনকি কুৎসা ও মিথ্যা রটনাকারীদের বলতে চাই সৎ ও পরিপূর্ণ বাঙ্গালীর জলন্ত দৃষ্টান্তে মিথ্যার দেয়াল না তুলে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর জন্য প্রস্তুত হউন। একটু চিন্তা করুন এবং নিজেদেরকে বদলিয়ে ঐ মানুষটির মত দায়িত্ব পালন করুন।

 

 

নীতি ও বিবেক একত্রিতভাবে কাজ করলে সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে তবে এর সঙ্গে যদি রাজনীতিটুকু যুক্ত হয় এবং তিনের মিলে এক হয় তাহলে শান্তি স্বাদ আস্বাদন করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে এই তিনের মধ্যে মিলতো নেই-ই বরং চলছে বিভেদ। এই বিভেদের রোষানলে পড়ে পুড়ে ছাড়খার হচ্ছে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ আগামীর জীবন । শান্তি এবং ভালবাসা মিলিত হউক এক ঐক্যের বন্ধনে। শান্তি প্রতিস্থাপিত হউক সকলের মনে। অশান্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হউক মরণাপন্ন মানবতা। গতি ফিরে আসুক প্রাত্যহিক এবং দৈনন্দিক কাজে। বিশৃঙ্খলা ও জটলা এবং অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে বিনষ্ট হওয়া কর্মচঞ্চল কর্মক্ষেত্রগুলো ফিরে পাক স্বস্তি। বর্ষীয়ান এ নেত্রীর বড় বিচিত্র জীবন যে জীবনে ছিল যেমন দুঃখ-কষ্ট তেমনী ছিল আত্মপ্রত্যয়। কঠোর থেকে কঠোর পরিশ্রম পরম ধৈর্য আর সহিষ্ণুতা দিয়ে যেমন নিজ জীবনকে চালিয়েছেন আমাদেরকেও সে ভাবে চলার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অর্থ-বিত্ত ঐশ্বর্যের সন্ধান করেননি। সমাজের সকল ক্ষেত্রেই তার আন্তরিক সহযোগিতা তিনি কখনও কারো প্রতিপক্ষ হতে চাননি সবসময় তিনি ভালো কাজের সহযোগী এজন্যই তিনি অনন্য-অসাধারণ একজন মানুষ।

 

কোন এক কবির কবিতার ছন্দে

মা’শব্দটি অতি ক্ষুদ্র
অতি মধুর এ কথাটি জেনে রেখ ভাই
মায়ের মত আপন ত্রিভূবনে আর কেহ নাই।
যেতাই যাই সেতাই দেখি মায়ের মতন অতি ছোট
একটি বাক্যে এত মধুর সুধা আর নাই।
মায়ের মতন এত স্নেহ মমতা
আর কোথায় পাবে ভাই?
মা নাই গৃহে যার অর্থহীন জীবন তাঁর।
একবার দেখিলে মায়ের মুখ
দূর হয়ে যায় সহস্র দুখ,
মা হীন এলোমেলো হৃদয়ে আর কোন
ঠিকানা আছে কি এই সংসারে?
কতই না শীতল কোলেতে সকল যাতনা ভোলে
কতই না মমতার পরশে
ভাসান বুক।
কতই না উৎপাত, কতই না আবদার
দিন-রাত,জীবনের সব সমাধান ওরে সে যে
মমতামুখী মা!

প্রতিবেশীরা ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকবো এ প্রত্যাশা করা কি খুব অন্যায়….. লেখক সাংবাদিক ও ভেষজ গবেষক

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.