মঠবাড়িয়ায় ৬’শ শিক্ষার্থীর চলাচলে দূর্ভোগ

0
(0)

হযরত আলী হিরু,পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
মঠবাড়িয়ায় ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্কুলের যাতাযাতের রাস্তায় ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধির কারনে কাঁদা পানিতে ভিজে প্রায়ই ক্লাশ না করে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও পূণিমার জোঁ’তে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারন করছে। জানাযায়, খাসহাওলা গ্রাম নিবাসী পুলিশ কর্মকর্তা (অবঃ) এমএ হামিদ ১৯৯০ সালে নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। এলাকার মানুয়ের দীর্ঘ দিনের দাবীর ফসল এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মঠবাড়িয়া ও সিমান্তবর্তী কাঠালিয়া-ভান্ডারিয়ার (একাংশ) শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে গত কয়েকবছর ধরে ভাল ফলাফল করে আসছে। বিদ্যালয়টির সাথেই রয়েছে পশ্চিম দাউদখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি স্কুল মিলিয়ে প্রায় ৬শতাধিক শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করছে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে দাউদখালী ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামে নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অব্যহত ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেলে স্কুল ২টি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। পূর্ণিমার জোঁ’র প্রভাবে স্কুলের রাস্তা ও বিদ্যালয় মাঠ ২/৩ ফুট পানিতে ডুবে রয়েছে। হাটু সমান কর্দমাক্ত রাস্তায় রয়েছে অসংখ্য খানা-খন্দ। শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে ভিজে ক্লাশে ঢুকছে। শিক্ষার্থীরা জানালেন, এভাবেই বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের সময়ে বই-খাতা কাঁদায় লেপ্টে ও পানিতে ভিজে যায়। বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাছরীন আক্তার জানান, প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁদা রাস্তা পেড়িয়ে প্রতিদিন তার বিদ্যালয়ে আসতে হয়। কাঁচা রাস্তাটি আবার বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে। তাছাড়া ঝুকি নিয়েই খালের ওপর থাকা সুপারি গাছের সাঁকো পারাপার করতে হয়। ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অপূর্ব বেপারী জানান, পানি-কাঁদায় বিদ্যালয়ে যাতায়াত করায় প্রায়ই ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগতে হয়। দ্রুত বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি পাঁকা করনে দাবী জানাই। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন জানান, ক্যাম্পাসের দক্ষিণ দিকে আমুয়া-মিরুখালী সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার, পশ্চিম দিকে ছোটহারজী পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এবং পূর্ব দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জন-প্রতিনিধিদের কাছে বার বার লিখিত অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। তিনি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিসেস্ হাসিনা হামিদ জানান, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের চরম উদাসীনতার কারনে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে শিক্ষা গ্রহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক রাহাত খান রাস্তাটির দূরদশার কথা স্বীকার করে বলেন, খাসহাওলা গ্রামে এবছর ১৫’শ ফুট রাস্তার কাজ হয়েছে। বাকী কাজও হবে। তবে পরিষদের সীমিত অর্থে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান সম্ভব না।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.