স্বরূপকাঠিতে ইউনিয়ন পরিষদের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ
হযরত আলী হিরু,পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের রোপিত প্রায় ২০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চাম্বল গাছ কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায় ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়াল। গত শুক্রবার কেটে ফেলা গাছটি সরিয়ে নিতে বাধা দেন ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও আবুল বাশারসহ ৬/৭ জন সদস্য। ওই সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব জমির উপর থেকে কেটে ফেলা গাছটি আটক করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান । ওই সদস্যদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে কেটে ফেলা গাছটি আটক করে স্থানীয় চৌকিদার মানিক হালদারের জিম্মায় রেখে আসেন। ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও আবুল বাশার অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ বড়াল আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই এবং পরিষদ সদস্যদের উপেক্ষা করে মুল্যবান চাম্বল গাছটি জনৈক মোশারফের কাছে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করার পায়তারা করেছিলেন। এলাকাবাসী জানান প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো ওই গাছগুলো সাবেক চেয়ারম্যান অরুন কান্তি দে ’র সময়ে রোপন করা এবং বর্তমানে পরিষদের অর্ধকোটি টাকার সম্পদে পরিনত হয়েছে। এ বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান অরুন কান্তি দে, এসএম মুইদুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। এলাকার বাসিন্দা মো. কাইয়ুম, জাহাঙ্গীর জানান মোশারফ ও চান্দু মিলে ওই গাছ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কিনেছেন বলে তারা জানিয়েছে। এ বিষয়ে মোশারফ মিয়ার ফোনে কথা বললে তিনি আসতেছি বলে দ্রুত কেটে পড়েন।
পরিষদের গাছ কেটে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে জলাবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়াল বলেন ওই জমিটি এক সময় পরিষদের দখলে থাকলেও বর্তমানে জনৈক এক ব্যক্তির নামে বিএস রেকর্ড হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন বিভিন্ন পুলের ছাউনি দেয়ার জন্য তিনি ওই রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে কাটিয়েছেন। গাছ বিক্রির কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। ওই গাছটি কাটার ব্যাপারে তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই বলে দাবী করেন চেয়ারম্যান আশিষ। পরিষদের সরকারি জমি অন্যের নামে রেকর্ড হলেও তিনি আপিল করে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বিষয়টি এড়িয়ে যান।