গাজীপুরের ট্যাম্পাকো দুর্ঘটনার মামলা চলবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এস এম রহমান হান্নান স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে দায়ের করা মামলা চলবে । নিহতের ঘটনায় পুলিশ একটি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি তদন্ত হয়েছে। উভয় তদন্তের ভিত্তিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে। বুধবার দুপুরে টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এত বড় দুর্ঘটনার পর শুধু শ্রমিকদের কথা ভেবে ট্যাম্পাকো পরিবার নতুন করে গড়ে তুলছে এই কারখানাকে । বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক কারখানাটি গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। ট্যাম্পাকোর মালিককে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা যেনো ভবিষ্যতে আর না ঘটে, আমরা যেনো আর কোনো মৃত্যু দেখতে না পাই তার ব্যবস্থা রেখেই কারখানা করবেন। কোম্পানি বিধিমালা যথাযতভাবে মেনে চলার পাশাপাশি উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করতেও তিনি মালিক পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ট্যাম্পাকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, ট্যাম্পাকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফিউস সামী আলমগীর, গাজীপুরের এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
অনুষ্ঠানে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আয়োজকরা জানান, নতুন ভবনটি একটি গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হবে সাড়ে ১৮ হাজার টন। প্যাকেজিং খাতে এটি একটি সর্বাধুনিক কারখানা হবে। কারখানাটি থেকে ১৫০ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হবে এবং অন্তত ৫০০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ট্যাম্পাকো ফয়লস কারখানায় ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জন প্রাণ হারান। আহত হন আরো অর্ধশতাধিক শ্রমিক। এ ঘটনায় পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।