দু’সপ্তাহ কাশির সঙ্গে জ্বর? টিবি পরীক্ষা জরুরি
শান্ত পথিক এস এম রহমান হান্নান স্টাফ রিপোর্টার
সর্দি, কাশি আর জ্বর হলে সাধারণত আমরা স্থানীয় কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিই। মোটামুটি সপ্তাহখানেকের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় দু’সপ্তাহ পেরিয়েও জ্বর কমছে না। এইরকম হলে অতি অবশ্যই টিউবারক্যুলোসিস বা যক্ষ্মারোগের পরীক্ষা করাতে হবে। যে কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বারবার সাধারণ মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন করে চলেছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের মুখ্য উপদেষ্টা ডাঃ সুরেশ রামাসুব্বান রাজ্যের এই সচেতনতামূলক উদ্যোগ নিয়ে জানিয়েছেন, কিছু নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে এক্টিনোমাইকোসিস ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকে। এই কারণে শুধুমাত্র বুকের এক্স-রে করে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। এ জন্য টিউবারক্যুলোসিস বা যক্ষ্মারোগের সঠিক পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এর থেকে অসুখের জন্য দায়ী সঠিক ব্যাকটেরিয়াকে চিহ্নিত করা যাবে। তাই সাধারণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়। তিনি বলেন, সরকার থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার পর বহু রোগী আমাদের হাসপাতালে আসছেন যক্ষ্মারোগের পরীক্ষা করিয়ে দ্রুত নিরাময় পেতে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে টিউবারক্যুলোসিস টেস্টে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া খুব বেশি ছড়িয়ে পড়লে তার জন্য আমরা একটা সিটি স্ক্যান করে দেখে নিই যে বুকের ভিতর কোনও টিউমার আছে কিনা। যদি টিউমার দেখা যায়, তাহলে সেটাকে দক্ষ ডাক্তারদের দ্বারা ব্রঙ্কোস্কোপি করিয়ে বায়োপসি করতে পাঠানো হয়। এরপর টিউমার ছোট থাকলে সেটাকে অপারেট না করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে টিউমারের নিরাময় করা হয়। রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। যদিও এই ধরনের সমস্যা খুবই বিরল ক্ষেত্রেই দেখা যায়। বয়স্কদের এবং অল্প বয়স থেকে ধূমপায়ীদের এই টিউমার হলে ক্যানসারের প্রবল আশঙ্কা থাকে।