চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে ৬ দিন ধরে আপেল আমদানি বন্ধ
জয়নাল আবেদীন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ।
আবারও ভুল তথ্যে হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে ৬দিন ধরে আপেল আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ২৪ নভেম্বর শুক্রবার ১২ ঘন্টা আটিকয়ে রেখে আমদানিকৃত আপেলবাহী ৯টি ট্রাকে শুল্ক গোয়েন্দাদের তল্লাশি করা হয়েছিল। এ তল্লাশিতে কোন প্রকার অবৈধ সামগ্রী ও অতিরিক্ত সামগ্রী না পেলেও দীর্ঘ সময় আপেল ট্রাকে থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার আপেল পঁচে বিনষ্ট হওয়ায় আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর)চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের আমদানি রপ্তানিকারক বদরুল ইসলাম, সাইফুর রহমান (রিমন), তাসদিক হোসেন (ইমরান), রমাপদ সেন ও ক্লিয়ারিং এজেন্ট সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, এ পথে ভারত থেকে সাতকরা, কমলা, আপেল আমদানি করা হয়। এলসির মাধ্যমে শুল্ক প্রদান করে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতীয় ছোট আপেল বাংলাদেশ আমদানি করা হচ্ছিল। অবৈধ পণ্য ও অতিরিক্ত আপেল আমদানি হচ্ছে বলে গোপন সংবাদে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সিলেট বিভাগীয় শুল্ক কমিশনার, শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে তথ্য পেয়েছিলেন।
এ তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট বিভাগীয় সহকারী শুল্ক কমিশরার ও মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক শুল্ক গোয়েন্দা ১৮ নভেম্বর থেকে এক সপ্তাহে আমদানিকৃত ভারতীয় আপেলবাহী ট্রাকে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এ সব তল্লাশিকালে এলসির চেয়ে অতিরিক্ত আপেল বা কোন প্রকার অবৈধ পন্য পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতদিনের তল্লাশি শেষে দেখা গেছে নয়টি ট্রাকে আমদানিকৃত আপেলের একটি অংশ বিনষ্ট হয়েছিল। যেহেতু আপেল কাঁচামাল আর কাঁচামার দ্রুত খালাস করে হাটে সরবরাহ করতে হয়। শুল্ক বিভাগের স্থানীয় রাজস্ব কর্মকর্তা রেখেও সিলেট থেকে সহকারী কমিশনার ও মৌলভীবাজার থেকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক এসে তল্লাশি চালান। আর এ বিলম্বে আপেল বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। এ আশঙ্কায় তারা (ব্যবসায়ীরা) চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন আপাতত ভারতীয় আপেল আমদানি বন্ধ রেখেছেন। চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, তিনি স্থানীয়ভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে যখন কোন অভিযোগ যায় তখনই একজন সহকারী কমিশনার ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক সরেজমিন এসে তল্লাশি চালান। রাজস্ব কর্মকর্তা আরও বলেন, বিধি মেতাবেক শুল্ক বিভাগ তল্লাশি চালাবেই। তিনি মনে করেন হয়তো আপেল কাঁচামাল বলেই ব্যবসায়ীরা পঁচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আপাতত ভারতীয় আপেল আনছেন না। এখানে শুল্ক বিভাগের করার কিছু নেই। তবে সঠিকভাবে রাজস্ব ও তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমতানি রপ্তানি করবে সে জন্য শুল্ক বিভাগ ব্যবসায়ীদের উৎসাহ প্রদান করবে।
আমদানীকারক বদরুল ইসলাম ও রমাপদ সেন বলেন, কোন প্রতিহিংসায় ভুল তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ী ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধের ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দিকটিও ভেবে দেখা উচিত