গৌরনদীতে বরযাত্রীবাহী ৬টি মাইক্রোবাস ব্যাপক ভাংচুর
গৌরনদী সংবাদদাতা
বরিশালের গৌরনদীতে বরযাত্রীবাহী ৬টি মাইক্রোবাস ব্যাপক ভাংচুর করেছে দুস্কৃতিকারীরা। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌণে ১০টা থেকে পৌণে ১১টার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা উপজেলার চাঁদশী বাজারে হামলা চালিয়ে ওই মাইক্রোবাস গুলো ভাংচুর করে। ওই রাতেই গৌরনদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপজেলার বার্থী গ্রামের জীবন বিশ^াসের ছেলে হৃদয় বিশ^াসের সঙ্গে একই উপজেলার চাঁদশী গ্রামের উত্তম পাল ওরফে কালু পালের কন্যা স্বপ্না পালের সামাজিক ভাবে শুক্রবার রাতে বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল। ৭টি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটর সাইকেল যোগে ১০০ বরযাত্রী শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদশী গ্রামে কনের বাড়িতে যায়। তখন ৭টি মাইক্রোবাস চাঁদশী বাজারে পাকিং করে রাখে চালকরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাইক্রোবাসের চালকরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আপ্যায়ন শেষে রাত ১১টার দিকে চাঁদশী বাজারে ফিরে এসে দেখতে পায়, অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা হেলাল চোকদার, মোঃ সোহাগ, মোঃ ছলেমান, নাসির হাওলাদার, মোঃ ফোরকান, আবুল হোসেনের মাইক্রোবাস ব্যাপক ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর পক্ষের একাধিক স্বজন জানান, কনের বাড়িতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাওয়াত না দেয়ার কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারনা।
গৌরনদী থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে থানার এস,আই সগীর হোসেনকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। মাইক্রোবাস চালকরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদশী বাজারে মাইক্রোবাস রেখে সবাই বিয়ে বাড়িতে খাবার খেতে গিয়েছিলো। এই ফাঁকে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা মাইক্রোবাস গুলো ভাংচুর করে। মাইক্রোবাস গুলো ভাংচুরের রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
কনের বাড়িতে দাওয়াত পাওয়ার কথা স্বীকার করে চাঁদশী ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে জানান, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা নাশকতা সৃষ্টির জন্য মাইক্রোবাস গুলো ভাংচুর করেছে বলে তিনি প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন। তার ইউনিয়নে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।