চাষ করুন রজনীগন্ধা

0
(0)

কৃষি ডেস্ক : রজনীগন্ধা মনোরম ও সুগন্ধি ফুল। সৌখিন মানুষ ঘর সাজাতে এ ফুল ব্যবহার করে। এছাড়া বিয়ে, গায়ে হলুদ, সভা, সমাবেশে, অনুষ্ঠানস্থল এ ফুল দিয়ে সাজানো হয়। ফলে রজনীগন্ধার চাহিদা বাজারে অসীম। তাই আপনিও চাষ করে উপার্জন করতে পারেন কিংবা নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
জাত
সিঙ্গেল ও ডাবল জাতের রজনীগন্ধা দেখা যায়। সুগন্ধ ও ফুলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিঙ্গেল জাতের চাহিদা বেশি। ডাবল ফুলের পাপড়ি অনেক কিন্তু গন্ধ ও ফুলের সংখ্যা কম।
বংশ
ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফুল ফোটা শেষে মাটির নিচ থেকে কন্দ তুলে নিতে হয়। এরপর রোপণের জন্য বড় মাপের কন্দ বাছাই করে বেশ কয়েক দিন ছায়াতে রেখে শুকিয়ে নিতে হয়।
চাষ
সব ধরনের মাটিতে মার্চ থেকে এপ্রিল মাস রজনীগন্ধা চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দো-আঁশ মাটি হলে ভালো। জমি উঁচু ও মাঝারি উঁচু হতে হবে। মাটির অবস্থা বুঝে ৭-১০ দিন পরপর সেচ দেওয়া ভালো। জমিতে পানি দেওয়ার এবং নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হয়।
জমি
৮-১০ ইঞ্চি গভীর করে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হয়। এসময় জমিতে গোবর, কম্পোস্ট, টিএসপি, এমপি ইত্যাদি সার ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হয়। বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড তৈরি করে কন্দ লাগাতে হয়।
কন্দ
বেড তৈরির ৫-৭ দিন পর ২৫-৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে সারি তৈরি করতে হয়। প্রতি সারিতে ১০-১৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে কন্দ রোপণ করতে হয়। কন্দ ৭ সেন্টিমিটার মাটির গভীরে পুঁতে দিতে হয়।
সার
প্রতি একরে ১২-১৫ মেট্রিকটন গোবর সার বা আবর্জনা পঁচা সার দিয়ে জমি চাষ দিতে হয়। এঁটেল মাটির ভাগ বেশি থাকলে জৈব সার বেশি পরিমাণে দেওয়া ভালো। গাছ বসাবার আগে একর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া, ১২০-১৩০ কেজি টিএসপি, ১৩০-১৪০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হয়। কন্দ বসাবার প্রায় ১.৫ মাস পর ১ বার ৫০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করে খুব ভালোভাবে জমিতে মিশিয়ে সেচ দিতে হয়।
রোগ-বালাই
পোকার আক্রমণ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে পারেন।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.