এ যুগের আসমানী গৌরনদীর কোরফুলি বেগম
আহছান উল্লাহ।
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,রহিমদ্দির ছোট্র বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়িতো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি একটুখানী বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পরে পানি। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের সেই আসমানী কবিতার কথা আমাদের সবার জানা। হয়ত কবি বেঁচে থাকলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা কোরফুলি বেগমকে নিয়ে আরেকটি কবিতা লিখতেন।
গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত বড়দুলালী গ্রামের অসহায় কোরফুলি বেগম জানান, ২২ বছর আগে স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সে থেকেই কোরফুলি বেগমের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। উপায়ন্তর না পেয়ে আশ্রয় নেন বাবার বাড়ি বড়দুলালী গ্রামে, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৩ শতক জমির উপর তার জীর্ন কুটির। উদর জ্বালা,রোদ বৃষ্টি আর সাপের ভয় নিয়েই কাটছে জীবন। ঝিয়ের কাজ করে উদর জ্বালা মিটালেও রোগ শোক আর করোনা মহামারির ছোবলে এখন কেউ কাজও দেয় না আর কাজ করার মত শারীরিক অবস্থাও নেই। এক প্রতিবেশীর সহায়তায় কয়েক মাস আগে একটি বিদবা ভাতার কার্ড পেয়েছেন। এ ছাড়া কোন সহায়তা পাননি। দুই ছেলে শরীফ আর জসিম ঢাকায় থাকেন। তারা তার মায়ের কোন খোজখবর রাখেন না। তবে তাদের প্রতি কোন ক্ষোভ নেই মাতৃ ¯েœহে বললেন ওরা (ছেলেরা)ও ভালো নেই। ওদের সংসার চালাতেই কষ্ঠ হয়। কয়েকবছর হয় ছেলেদের সাথেও কোন যোগাযোগ নেই। তারপরও মা বলে কথা। প্রান খুলে বললেন যে খানে, যে অবস্থায় থাকুক ছেলেরা যেন ভালো থাকে।
স্থানীয় একাধীক সুত্র জানায় প্রায় ২০ বছর কোরফুলি মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারি ঘড়সহ অনেক সহায়তা মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় সংশ্লিষ্টরা দিচ্ছেন। উৎকোচ দিতে না পাড়ায় অনেক অসহায়রা সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বার্থী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান প্যাদা জানান, তার (কোরফুলি)র বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে আমি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকনের মাধ্যমে খোজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।