করোনাক্রান্তি মানবেতর জীবন যাপন করছে গৌরনদীর একটি পরিবার

0
(0)


আহছান উল্লাহ।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরের উত্তর বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্ধা আমজাদ হোসেন তালুকদার। পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। করোনার কারনে কাজকর্ম না থাকায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। গ্রামের বাড়িতে এসে চড়ম বিপাকে পরেছেন তিনি। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় থাকতে হচ্ছে তাকে।
গেল বছর বুলবুলের আঘাতে তার বাড়িটি সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি কোন সহায়তা পাননি। ঢাকা থেকে কিছু টাকা নিয়ে এসেছিলেন। ইচ্ছা ছিল বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি সংস্কার করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করবেন। কিন্তু গ্রামে এসে করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় জমানো টাকা শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের সকলকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তার এক ভাইর বাসায়। এখন ঘরও ঠিক করতে পারছেন না কাজও নেই। নেই কোন সরকারি সহায়তাও ।

আমজাদ হোসেন তালুকদার জানান,ঢাকার শাহজাদপুরে পরিবারসহ বসবাস করতেন। বিল্ডিং এর কাজ ঠিকা নিয়ে করতেন। ৫ সদস্যর পরিবার নিয়ে ভালোই চলছিলেন। করোনার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ইচ্ছা ছিল বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি মেরামত করে গ্রামেই কোন কাজকর্ম করবেন। কিন্তু করোনায় লকডাউন বেড়ে যাওয়ায় জমানো টাকা পয়সা খরচ করে ফেলেছেন। বর্তমানে অন্যের ঘরে আশ্রিত আছেন। কোন কাজ পাচ্ছেন না। জমি বিক্রি করার চেস্টা করছেন কিন্ত করোনার কারনে কেহ জমিও কিনতে চাচ্ছে না। সরকারি কোন সহযোগীতাও পাননি। ক্ষোভের সাথে বলেন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়াই পাপ হয়েছে। যে অবস্থা দেখছি না খেয়েই মরতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন,বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি বরাদ্দ যা আসছে তা ইউনিয়ন ও পৌরসভার মাধ্যমে বন্টন করা হয়েছে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.