ওসি সাহেবের করোনারও ভয় নাই
স্টাফ রিপোর্টার,আগৈলঝাড়া।
গুণ ও জবাবদিহিতার ওপর মানবিক কর্মকাণ্ডে আদর্শমান একজন ব্যক্তি । একজনত বলে ফেলেছেন ওসি আফজাল সাহেবের করোনারও ভয় নাই। নিজের ভাগ্য যেন বার বার অসহায় আর নিপীড়িতদের পাশে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। যেখানে তিনি নির্দেশ দিলে কাজটি সফল ভাবে অন্য অফিসাররা বাস্তবায়ন করতে সম্ভব, সেখানে নির্দেশের অপেক্ষা না করে অমানবিক কোন ঘটনা শুনেই মানবিক সাড়া প্রদান করতে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে যান । পুলিশ বিভাগের একজন আইকন তিনি আর কেউ নন, তিনি শান্তি মিশনে পুরস্কৃত বরিশাল জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন।
ছেলেরা বাড়িতে না থাকার কারণে বাড়ি থেকে অন্তত এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সওদা কিনতে ৭৫ বছরের অতিশীপর বৃদ্ধা মালা করাতি করোনা সংক্রমনের ভয়কে উপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে নিত্য প্রয়োজনীয় সওদা কিনতে বাজারে আসেন।
বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পরে গিয়ে সঙ্গাহীন হয়ে পরেন মালা করাতি। আশপাশে অনেক উৎসুক লোকজন থাকলেও করোনা সংক্রমনের সন্দেহে মালতিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি কেউ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মো. আফজাল হোসেন। তিনি ওই অসহায় বৃদ্ধা মালা করাতিকে উদ্ধার করে উপজেরা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। হাসপাতালে তিনি বৃদ্ধার চিকিৎসা, ঔষধ, পথ্য নিশ্চিত করে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল বৃদ্ধার ভাষ্য অনুয়ায়ি তার পরিবারের স্বজনদের কাছে খোঁজ নিতে পুলিশ পাঠান ।
বৃহস্পতিবার সকালে হদদরিদ্র অসহায় মালা করাতির বাড়ি গিয়ে তার পরিবারেরর খাদ্য সহায়তার জন্য চাল ও বাজার করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মশিউর রহমান সরদার।ইউপি সদস্য মশিউর রহমান জানান, গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ওসি মো. আফজাল হোসেন কর্মস্থলে তার যোগদানের বয়স প্রায় দুই বছর। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ প্রশাসক হিসেবে নয় একজন মানবতাবাদী, জনদরদী পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজের হাত প্রসারিত করে নিজেকে আগৈলঝাড়া বাসীর একজন বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। গত সোমবার করোনা সন্দেহে বাইপাস সড়কে ফেলে যাওয়া এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের পর তার স্বজনদের হাতে তুলে দেন। অতি সম্প্রতি মোল্লাপাড়া গ্রামে পুত্র বধূ কর্তৃক করোনার অযুহাত দিয়ে দুই মাস একটি মন্দিরের বারান্দায় অসহায় বৃদ্ধা শাশুরীকে ফেলে রেখে তাকে খাবার না দিয়ে শাশুরীকে নির্যাতন করার অভিযোগে অভিযুক্ত পুত্র বধুকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছেন । করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট সংকটে মানবতার সেবায় অবিরাম ছুটে চলা মানবতার এই ফেরিওয়ালা এখন উপজেলার মানুষের কাছে প্রিয় একটি নাম ।
এক প্রশ্নের জবাবে আফজাল হোসেন জানান, পুলিশ মানে জনগনের সেবক এই আদর্শিকতা আমাদের উর্দ্ভতনরা শিখিয়েছেন । করোনাভাইরাসের সংক্রমণে নাকাল পুরো বিশ্ব, যার থাবা থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশও, তাই আমাদের দায়ীত্ব পালন করতে হবে নিখুথভাবে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দ্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের সহকমী পুলিশ ভাইদের নিয়ে আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছি । আপনারা দেখছেন করোনা মহামারিতে পুলিশ নিরলস কাজ করছে ।