অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ কথাসাহিত্যিক কামাল হোসেন টিপুর ষষ্ঠ উপন্যাস ‘তোমায় আমায় দেবে

0
(0)


অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ প্রকাশিত হয়েছে নবীন কবি ও কথাসাহিত্যিক কামাল হোসেন টিপুর ষষ্ঠ উপন্যাস ‘তোমায় আমায় দেবে’। দারুণ রোমাঞ্চে ভরা এ উপন্যাসে একদিকে উঠে এসেছে সীমাহীন আবেগ। আর অন্যদিকে ফুটে উঠেছে মানবজীবনের রূঢ় বাস্তবতা।
উপন্যাসের নায়কের নাম দিপু। সে জš§-পরিচয়হীন। জšে§র পর যাকে উদ্ধার করা হয় রাস্তায় পাশ থেকে। এরপর তার স্থায়ী নিবাস হয় অনাথ আশ্রমে। সেখানে সে বেড়ে উঠতে থাকে। মেধা ভালো হওয়ায় আশ্রম কর্তৃপক্ষ দিপুকে পড়াশোনায় উৎসাহ জোগায়। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সে তার অতীতকে খুঁজে বেড়াত। বিশেষ করে তার মাকে খুঁজত। দিপুর বিশ্বাস, ‘মা হয়তো পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাকে ফেলে গেছেন। কিন্তু তিনি সবসময় দিপুর আশপাশে থাকেন। দূর থেকে তিনি হয়তো দিপুকে দেখেন।’ এ বিশ্বাস থেকে দিপু সব মাকে খুঁজে বেড়ায়। দিপুর বিষাদময় জীবনে একসময় রোমাঞ্চের সূর্য উঁকি দেয়। তার জীবনে সোহাগী নামে এক ললনার আগমন ঘটে। সোহাগীর স্পর্শে এসে দিপু প্রথম আপনজনের ভালোবাসা আর সুখের অস্থিত্ব অনুভব করে। এই প্রথম সে জীবনের পরিপূর্ণতা টের পায়। কিন্তু দিপুর সে সুখে কাল হয়ে দাঁড়ায় সোহাগীর বাবা। তিনি উচ্চপদস্থ এক সরকারি কর্মকর্তা। সোহাগীর সচিব বাবার আমলাতান্ত্রিক চালে পড়ে দিপু নিখোঁজ হয়। দিপুর বিরহে সোহাগীর পাগল হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। দিপুর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে সচিব বাবার সাথে সোহাগীর দুরত্ব বাড়তে থাকে। এক সময় বাবা মেয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এদিকে অপেক্ষার প্রায় দেড় বছর পর সোহাগীর জীবনে হঠাৎ দিপু ফিরে আসে।

লেখক কামাল হোসেন টিপু পেশায় সাংবাদিক। তিনি দৈনিক বাংলাদেশ জার্নালের মফস্বল ইনচার্জ। এর আগে তিনি দৈনিক মানবকণ্ঠের মফস্বল ইনচার্জ ছিলেন। লেখকের এ পর্যন্ত আটটি প্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি উপন্যাস ও দুটি কাব্যগ্রন্থ। তার সব বই প্রকাশ করে দেশের নামকরা প্রকাশনী ‘অন্বেষা প্রকাশন’।
‘তোমায় আমায় দেবে’ উপন্যাসটি পাওয়া যাবে অন্বেষা প্রকাশনের প্যাভিলিয়নে। প্যাভিলিয়ন নং-৩৩। এ ছাড়া অনলাইন সপ দজড়শড়সধর.পড়স’ কামাল হোসেন টিপুর সব বই পাওয়া যাবে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.