গৌরনদীতে চীন ফেরত মেডিকেল ছাত্র উৎকন্ঠিত প্রতিবেশীর জটলা থেকে আতংক
গৌরনদীতে চীন ফেরত মেডিকেল ছাত্র
উৎকন্ঠিত প্রতিবেশীর জটলা থেকে আতংক
স্টাফ রিপোর্টারঃ
চীন ফেরত মেডিকেল ছাত্র হেলাল সিকদারকে নিয়ে উৎকন্ঠিত প্রতিবেশীদের জটলা
থেকে রোববার সন্ধ্যার পরে করোনা ভাইরাস আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বরিশালের গৌরনদী
উপজেলার বানীয়াশুরী, উত্তর বিজয়পুর, গোবর্দ্ধন ও উত্তর পালরদী গ্রামের
সংযোগস্থল বাদামতলা এলাকার। ঘটনা জানার পর স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাপ চলছে সেখানে। বরিশালের
সিভিল সার্জন অভয় দিলেও আতংক কাটছেনা এলাকাবাসীর। নানা সন্দেহের দোলায়
দুলছেন তারা।
জানাগেছে, ওই এলাকার বানিয়াশুরী গ্রামের জালাল সিকদারের ছেলে হেলাল
সিকদার গত ১লা ফেব্রুয়ারী শনিবার গভীর রাতে চীন থেকে এসে নিজ বাড়িতে
উঠেছেন। এ সময় তিনি তার নাক মূখ ঢেকে বাড়িতে ঢোকেন। এর পর তিনি তার
পরিবারের স্বজনদেরকে আতœীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে একা একা বাড়িতে অবস্থান
করছিলেন। এ ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে তাদের মনে সন্দেহ জাগে
তবে কি হেলাল সিকদার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ?
এ নিয়ে বোরবার দিনভর বাদামতলা টেম্পো ষ্টান্ডে জটলা পাকিয়ে আলোচনা শুরু
করে প্রতিবেশীরা। এ থেকেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এ ঘটনা। রোববার রাতে দু
একটি সহযোগী দৈনিক এ নিয়ে তাদের অনলাইন সংস্করনে রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই
রিপোর্ট দেখে স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তারা দৌড়ঝাপ শুরু করেন সেখানে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি
মেডিকেল টীম নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ
মনোয়ার হোসেন। নানা পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তিনি জানান, তার কিছুই নয়নি। এ
নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তার পরও সতর্কতার জন্য আগামী ১৪/১৫ দিন আমরা
তাকে নিজের বাড়িতে একা একটি রুমে থাকতে বলেছি। সেখানে সে নিজের খাবার
নিজে রান্না করে খাবে। এ কয়দিন অন্য কারো সংস্পর্শে সে যাবে না। সিভিল
সার্জন অভয় দিলেও আতংক কাটছেনা তাদের। নানা সন্দেহের দোলায় দুলছেন তারা।
কেউ কেউ বলছেন, এলাকাবাসীর আতংক কাটাতে সরকার তাকে কোন হাসপাতালে অথবা
নিরাপদ স্থানে রেখে পর্যবেক্ষন করলেইতো এলাকাবাসীর আতংক কেটে যায়। কেন
প্রশাসন সে উদ্যোগ নিচ্ছেনা।
তবে হেলাল সিকদার গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন আসলে তিনি সুস্থ্য আছেন কিছু
অতি-উৎসাহী লোক গুজব রটিয়ে অহেতুক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
এলাকাবাসীর অতংক সম্পর্ক জানতে চাইলে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার
ইসরাত জাহান জানান, সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টীম
পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখেছে যে, হেলাল সিকদারের দেহে করোনার কোন জার্ম
নেই। সুতারাং তাকে নিয়ে এলাকাবাসীর আতংকের কিছু নেই। এলাকাবাসীর আতংক
কাটাতে উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজই একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনগনকে
আতংকিত না হওয়ার আহবান জানাবে।