বিশ্ব খাদ্য দিবস
এস এম রহামান হান্নান, স্টাফ রিপোর্টার
সাম্প্রতিককালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা ও বন্যায় অনেক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বছরে বিশ্বের ১০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন হেক্টর আবাদি জমি কমে যাওয়া, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ও জ্বালানি তেলের দামের ওঠা-নামা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
এমনি পরিস্থিতিতে আজ পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জলবায়ু পরিবর্তন, ক্ষুধা ও অতি দারিদ্র্যকে একসঙ্গে মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করেছে।
বর্তমান সময়ে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য আজকের বিশ্বেও সবচেয়ে উদ্বেগজনক বাস্তবতা। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় একশ’ কোটি মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। অন্যদিকে, নিত্যপণ্যসহ জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর কারণেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ নিয়ে অনেক দেশেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ড. প্যাল রোমানি খাদ্য দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম উত্থাপন করেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৬ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী খাদ্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এই দিনটি মূলত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিন। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। এর আওতায় বীজ বপন ও কৃষকদের অর্থায়ন, পশুসম্পদ সংরক্ষণ, মৎস্য চাষ নিশ্চিত করা এবং সব মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি পালন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের কৃষি খাতের যে বদলগুলো হচ্ছে তা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলার জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচিতে নানা অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জমায়েত, আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করেছে। রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অথিথি হিসেবে থাকবেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ দারা।