গৌরনদীর সুস্বাদু ক্ষীর
মোঃ আহছান উল্লাহ,গৌরনদী ঃ
অনেক শীত খেতে হবে গৌরনদীর ক্ষীর, বরিশালের গৌরনদীর সুস্বাদু ক্ষীর সম্পর্কে এই প্রবচন স্থানীয় ভোজনরসিক মানুষের মুখে মুখে। দু-শ বছরের বেশী সময় থেকে অদ্যবদী পর্যন্ত গৌরনদীর ক্ষীর দেশ ও বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। নবাব,ইংরেজ ও জমিদারদের খাদ্য তালিকায়ও এ ক্ষীর ছিল।
স্বাদ,গ্রান,রং,ঐতিয্য ও খাদ্যগুনের কারনে এ ক্ষীর স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে এ ক্ষীর দেশের বাইরেও এর সুনাম অর্জন করছে প্রবাসীদের মাধ্যমে। জেলার ব্রান্ডিং তথ্য ঐতিয্যের তালিকায় গৌরনদীর ক্ষীরের নাম অন্তভূক্ত করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গৌরনদী বন্দরের গৌরনিতাই মিষ্টান্নভান্ডারের পরিচালক সিদাম ঘোষ,গৌরাঙ্গ ঘোষ জানান পূর্বপুরুষ থেকে আমরা এ ব্যবসা ধরে রেখেছি। শুধু দুধ দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় এ ক্ষীর তৈরী করে মাটির পাত্রে সংরক্ষন করা হয়। স্বাভাবিক আবহাওয়ায় ১০/১৫ দিনে নষ্ট হয় না তাছাড়া ফ্রিজে ১ মাস সংরক্ষন করা যায়। প্রতিকেজী ক্ষীর তৈরিতে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। গৌরনদীতে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ মন ক্ষীর উৎপাদন হয়। সারা বছর চাহিদা থাকলেও শীতে ক্ষীরের চাহিদা বেড়ে যায়। মধ্যপ্রাচ্য,ইউরোপ,আমেরিকায় গৌরনদীর প্রবাসিরা অর্ডার দিয়ে এ ক্ষীর বানিয়ে নিচ্ছেন।
গৌরনদীর দুগ্ধজাত পন্যের প্রবীন ব্যবসায়ী সচিন ঘোষ জানান, গৌরনদীর দুগ্ধজাত পন্য এখন এটি একটি শিল্প। অনেকেই এখন এ ব্যবসায় ঝুকছেন এ পন্যর ব্যবসায় প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো জানান দুগ্ধজাত পন্যর ব্যবসায় শুধু ব্যবসায়ীরাই লাভবান হচ্ছেন না সরকারেরও রাজস্ব আয় বাড়ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান গৌরনিতাই মিষ্টান্নভান্ডার একাধীকবার জেলার সেরা করদাতার পুরুষ্কার লাভ করেছে।