আগৈলঝাড়ায় শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্কাউট ড্রেসের টাকা দিতে না পারায় ১ঘন্টা পর শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ শিক্ষা কর্মকর্তার। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিকেলে পরীক্ষা গ্রহন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস। ২২বছর একই স্কুলে থাকা প্রধান শিক্ষিকা বদলী ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ।
জানা গেছে, বাকাল হাই সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাপনী পরীক্ষায় মঙ্গলবার বিকেলে গনিত পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার প্রায় ১ঘন্টা অতিবাহিত হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনালিনী তালুকদার স্কাউট ড্রেসের টাকা না দেয়ার অযুহাতে ১০জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল থেকে অন্য শিক্ষকের মাধ্যমে তার কক্ষে ডেকে পাঠান।
ক্লাশ শিক্ষকের ডাকে সারা দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে ৮ শিক্ষার্থী স্কাউট ড্রেসের টাকা আগামী শনি ও রবিবার তাদের টাকা পরিশোধ করবে জানালে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দিলেও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শংকর দে’র মেয়ে পায়েল দে ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শচীন বিশ্বাসের মেয়ে চৈতী বিশ্বাসকে পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
ওই দুই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে ঘটনা তাদের অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকেরা ঘটনা জানার জন্য স্কুলে ভীড় করেন। বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পরলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনা জানতে পেরে ট্রেনিংএ থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রিতীশ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পাঠান। শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে শুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে প্রিতীশ বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
এদিকে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক স্কুলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বের করে দেয়া শিক্ষার্থী ও উপস্থিত অভিভাবকদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়া দুই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহনের নির্দেশ দেন। এসময় তিনি তদন্ত সাপেক্ষ প্রধান শিক্ষকের বিচার করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
একই স্কুলের ২২ বছর শিক্ষকতা করা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মৃনালিনী তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভুল হয়েছে জানিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বদলীর শুপারীশ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি মঙ্গলবার শেষ বিকেলে কাগজপত্র তৈরী করছেন।