গৌরনদীতে জয়িতাদের সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান
আবদুল মান্নান,গৌরনদী।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে বরিশালের গৌরনদীতে অনুষ্ঠিত এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলার পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।
জানাগেছে, সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী পরিচালিত “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় গৌরনদী উপজেলা এলাকায় জয়িতা অন্বেষন কার্যক্রমের মাধ্যমে এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সংবর্ধনা প্রদানে গৌরনদী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় গৌরনদী উপজেলা পরিষদের শহীদ শুকান্তবাবু মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠানের অয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে গৌরনদী উপজেলা থেকে নির্বাচিত এ বছররে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এর আগে এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া আফরোজ হেলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারিহা তানজিন, গৌরনদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিয়া, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খোন্দকার মনিরুজ্জামান মনির, গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বান্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার খান মনিরুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অশোক কুমার চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সুপারভাইজার নারায়ন চন্দ্র দে, জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা সংগঠক মোঃ নুরুজ্জামান, মাঠ সমন্বয়কারী, মোঃ শহিদুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার ভদ্র, ট্রেড প্রশিক্ষক কাকলী খানম, অফিস সহকারী ভবরঞ্জন হাজরা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করার জন্য স্বামী পরিত্যক্তা মোসাঃ খালেদা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য স্বামী মৃত মাসহুরা বেগম, সফল জননী নারী হিসেবে সাফল্য অর্জন করার জন্য ইতিরানী ঘোষ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরুর জন্য স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত আজমির নাহার, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য স্বামী মৃত সীতা রানী দেবনাথ নামের এ পাঁচ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা নারীকে সংবর্ধনা, ক্রেষ্ট ও সম্মানী প্রদান করা হয়।