চিনে কমিউনিস্ট পার্টির একদলীয় শাসনের ৭০ বছর পূর্ণ হল মঙ্গলবার। সেই উপলক্ষে বেজিং-এর তিয়েন আন মেন স্কোয়ার থেকে ভাষণ দিলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সর্বাধিনায়ক মাও সে তুং বিপ্লবের বিজয় ঘোষণা করেছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়েই এদিন শি ঘোষণা করলেন, আমাদের অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।

তাঁর কথায়, এমন কোনও শক্তি নেই যা আমাদের ভয় পাওয়াতে পারে। আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল কাঁপিয়ে দিতে পারে। তিয়েন আন মেনে এদিন ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার সৈনিক। তাঁরা চিনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বিপ্লবের ৭০ বছর পূর্তিতে ৭০ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়। এই সমাবেশ উপলক্ষে এদিন বেজিং-এ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বহু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি ঘুড়ি ওড়ানোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শি তিয়েন আন মেনের মঞ্চ থেকে যাই ঘোষণা করুন না কেন, তাঁর সরকার এখন খুব একটা স্বস্তিতে নেই। তাঁদের মাথাব্যথার কারণ দু’টি। প্রথমত আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধ। দ্বিতীয়ত হংকং-এ বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে চিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা শি-র সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

চিন অনেক চেষ্টা করেও বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে মতৈক্যে আসতে পারেনি। তার ওপরে আফ্রিকায় ব্যাপক হারে সোয়াইন ফ্লু দেখা দেওয়ার পরে সেখান থেকে শূকরের মাংস আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে চিনে শূকর মাংসের দাম হু হু করে বাড়ছে। শি-র সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হংকং-এর বিক্ষোভকারীরা। চিন বিপ্লবের ৭০ বছর পূর্তির আগেই হংকং-এ পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। তারা চায় সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। তাদের অভিযোগ, অতীতে তারা যে বিশেষ সুবিধাগুলি ভোগ করত, চিন তা দিতে অস্বীকার করছে। পুলিশের ধারণা, হংকং-এর বিক্ষোভ যে কোনও সময় হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। দ্য ওয়াল