অনির্বাণ

চলছে নবরাত্রি। সাফল্য পেতে, মনস্কামনা পূর্ণ করতে সকলে দেবীর কাছে নানা প্রার্থনা করেন। সনাতন হিন্দু শাস্ত্র জানাচ্ছে, দুর্গার নয় অবতারকে তুষ্ট করতে এই প্রসাদ নিবেদন করা উচিত দেবীকে।

শৈলপুত্রী: সতীর দেহত্যাগের পরে হিমালয়ের কন্যা রূপে এই দেবী জন্মগ্রহণ করেন। শৈলপুত্রীর প্রসাদ দেশি ঘি।

ব্রহ্মচারিণী: ব্রহ্মচারিণীকে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় চিনির সন্দেশ। দক্ষ প্রজাপতির কন্যা সতীরূপে মা জন্ম নেন।

চন্দ্রঘণ্টা: মনস্কামনা পূর্ণ করতে দুধ দিতে হয় প্রসাদ হিসেবে।শিবের সঙ্গে বিবাহের পরে মা এমন রূপ ধারণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়।

কুষ্মাণ্ডা: মালপোয়া এই দেবীর প্রসাদ। সিদ্ধিদাত্রী রূপের ঠিক পরেই এই রূপ মা গ্রহণ করেন।

স্কন্দমাতা: কলা স্কন্দমাতার প্রধান প্রসাদ। দেবসেনাপতি স্কন্দদেবের মাতার রূপ।

কাত্যায়নী: মধু দেওয়া হয় দেবী কাত্যায়নীকে। মহিষাসুরকে বধ করে দেবী কাত্যায়নী রূপ প্রাপ্ত হন।

কালরাত্রি: মায়ের সবথেকে তীব্র ও ভয়ঙ্কর রূপ। শুম্ভ ও নিশুম্ব বধের কালে মা এই রূপ পরিগ্রহ করেছিলেন। ভেলি গুড় দেওয়া হয় কালরাত্রিকে।

মহাগৌরী: নারকেল দেবী মহাগৌরীর প্রসাদ। ষোড়শী রূপ। বরাভয়দায়িনী। দেবী পার্বতী শিবকে লাভের জন্য যখন তপস্যা করছিলেন, তখন তাঁর দেহ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে।