শনিবার রাতে এই অস্ত্রোপচার করেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৬ ডাক্তারের একটি বোর্ড। এই বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন ডাক্তার সুমন সাহা। অস্ত্রোপচার করে প্রায় ১ কেজি ওজনের চুলের গোল্লা বের হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে এই ধরনের অস্ত্রোপচার এই নিয়ে ৪৩ বার করা হল।

মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের চুলই খেয়ে ফেলত পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার তৈরালার ওই কিশোরী। চিকিৎসার পরিভাষায় এই ধরনের প্রবণতাকে বলা হয় রেপুনজেল সিনড্রোম। আর এই রোগকে বলা হয় ট্রিচোবেজোর। ঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

কিন্তু কীভাবে এই রোগ হল ওই কিশোরীর?

তার পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে থেকে নিজের চুল খেয়ে ফেলার অভ্যেস ছিল ওই কিশোরীর। মাঝেমধ্যে তাঁরা দেখতে পেলে নিষেধও করতেন। কিন্তু তার মধ্যেই যে এই পরিমাণ চুল সে খেয়ে ফেলেছে তা পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারেননি। কয়েকদিন ধরেই পেটে ব্যথা হচ্ছিল কিশোরীর। স্থানীয় হাসপাতালে দেখিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা শুরু হয় তার। শুক্রবার সকালেই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় তাকে। পরীক্ষা করে চুলের হদিশ পাওয়া যায়। তারপরেই অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হয়।

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, এখনও হাসপাতালে রয়েছে কিশোরী। সঙ্গে রয়েছে পরিবারও। কিশোরী যাতে ভবিষ্যতে আর চুল না খায়, তার জন্য তার কাউন্সেলিং করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।