বিশ্বের বৃহত্তম তৈল খনি সৌদি আরবের আরমাকো ড্রোন হামলা তোলপাড় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তৈল খনিতে ড্রোন হামলা করে বীভৎস অগ্নিকাণ্ড ঘিরে রীতিমতো হতবাক আরব দুনিয়াও। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও খানিকটা উস্কে দিয়েছে মার্কিন। ইয়েমেনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খোঁচার নিশানায় এখনও ইরানই রয়েছে।

১০ টিরও বেশি ড্রোন নিয়ে সৌদির আরমাকো-র তৈল খনিতে জোরালো হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা হামলার দায় স্বীকার করে। শুধু এই প্রথমবার নয়, এর আগেও হুথিরা সৌদিকে নিশানায় রেখে বহু ধরনের হামলা চালিয়েছে। হুথির দাবি করেছে, হুথি গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় হামলা এটিই। যা সম্ভব হয়েছে দেশের মানুষদের সমর্থনে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, সৌদিতে এই হামলার ফলে ৫.৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের ক্ষতি হয়েছে। যা গোটা বিশ্বের ৫ শতাংশ পরিবাহিত তেলের ৫ শতাংশ। তৈল পরিবহণের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে। কারণ , গোটা বিশ্বের তৈল পরিবহণের ক্ষেত্রে এই ঘটনার পর দামের প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইরান-মার্কিন ঠাণ্ডা লড়াই বহুদিন ধরেই উপসগারের বুকে চলতে শুরু করেছে। আর সেই লড়াইকে উস্কে দিয়েই এবার মার্কিন মুলুক , সদ্য সৌদিতে তৈল ভাণ্ডারের হামলা নিয়ে জানিয়ে দেয় যে, ‘ইয়েমেন থেকেই যে হামলা হয়েছে তার কোনও প্রমাণ নেই। ‘ মার্কিন সেক্রেটারির দাবি, ‘ইরান বিশ্বের বড়সড় শক্তির সঞ্চালনের ওপর অভূতপূর্ব হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।’ পাশাপাশি, সৌদিতে এই হামলাকে মার্কিন মুলুক ‘ইরানের হামলা’ বলে দাবি করেছে।