শেবাচিমে চিকিৎসাধীন বিরলতম হারলেকুইন শিশু

smart

0
(0)

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বিরলতম হারলেকুইন ইকথায়োসিস রোগে আক্রান্ত এক নবজাতককে। জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরশেফালী গ্রামের এক দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এক দিন বয়সী ওই শিশুকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা যায় সে দেখতে অন্যসব স্বাভাবিক শিশুর মতো নয়। এরপর অভিভাবকরা দুই কেজি ওজনের শিশুটিকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাত-পা সবকিছু থাকলেও পুরো শরীরে সাদা একটি আবরণ রয়েছে। যার মাঝে মাঝে লাল দাগ রয়েছে। চোখ দুটিও তার ভেতরেই আটকা রয়েছে। যা দেখে কেউ কেউ বিরলতম চর্মরোগও বলছেন।
চিকিৎসকরা শরীরের ওপর থাকা আবরণটি নরম করার জন্য ওষুধ দিয়েছেন, পাশাপাশি শিশুটির সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন তারা। তবে শিশুটির ভবিষ্যত নিয়ে এ মুহুর্তে কিছু বলতে চাননি চিকিৎসকেরা।
নবজাতক ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের মতে, শিশুটি হারলেকুইন ইকথায়োসিসে (ঐধৎষবয়ঁরহ রপযঃযুড়ংরং) আক্রান্ত। সেজন্য তার ত্বক অন্য শিশুদের মতো স্বাভাবিক নয়। এ ধরনের অসুস্থতায় জন্ম নেওয়া শিশুর শরীর পাতলা চামড়ার আবরণে ঢেকে থাকে। অপুষ্টি, শ্বাসকষ্টজনিত, ইনফেকশনসহ একাধিক সমস্যা নিয়ে এই শিশুরা ভূমিষ্ঠ হয়।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, শিশুটি বিরল জিনগত সমস্যায় আক্রান্ত। তবে এ রোগটি যে পরিবারের কারও আগে হয়েছিল এমনও নয়। এটি খুবই বিরল একটি রোগ বলা চলে। দীর্ঘ কয়েকযুগ মিলিয়ে ৭-৮টির ওপরে এমন শিশু দেখিনি। কয়েক লাখে এ ধরনের একটি শিশুর দেখা মিলতে পারে।
শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুটির ছবি দেখে তার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ডা. সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিশুটির শরীরে যা হয়েছে তাকে হারলেকুইন ইকথায়োসিস বলে। স্বাভাবিক মানুষের চামড়া যেভাবে তৈরি হয়, শিশুটির ক্ষেত্রে তা হয়নি। এককথায় এ ধরনের শরীরে চামড়া তৈরি না হওয়ায় দেখতে এমনটা হয়েছে

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.