সবুজবাংলা।: টাটকা সবুজ ধনেপাতা দেখলেই বেশ একটা মনে আনন্দ হয় অনেকরই। কারণ যে কোনও রান্নাতেই এই পাতা দিলে তার স্বাদ গন্ধ বেশ খানিকটা ঋদ্ধই হয় বলা যায়। তো সে হরাচিকেনের মতো বাহারি নাম হোক বা ধনেপাতা দেওয়া মাছের ঝোল, চোখে দেখতে এবং চেখে দেখতে ভালোবাসেন না এমন খুব কম লোকজনই আছেন। তো এই চোখে দেখার যে কথা হচ্ছে, আমরা অনেকেই জানি না ধনেপাতা আমাদের চোখে দেখার কাজটাকেও মজবুত করে। হ্যাঁ, দৃষ্টিশক্তি মজবুত করতে সাহায্য করে এই ধনেপাতা। এরকমই ধনেপাতার আরও কিছু বিশেষ গুণ আছে।
জেনে নিন  সেগুলো কী কী…

দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে
হয় তো অনেকেই জানেন না, ধনেপাতায় আছে ভিটামিন –এ, এই ভিটামিন যে আমাদের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে তা অবশ্য অনেকেই জানি আমরা। তাই ধনেপাতা দেওয়া রান্না যত খাবেন আপনি, চোখের কাজও তত মজবুত হবে।

ব্লাড সুগার আয়ত্তে রাখে
ধনেপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেই গুঁড়ো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা সীমার মধ্যে থাকতে পারে। কারণ এই গুঁড়ো আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

হজমে সাহায্য করে
পেট ব্যথা থেকে গা বমি বমি ভাব, কোলাইটিস থেকে পেট খারাপ সবই কিন্তু বাগে থাকতে পারে এই সবুজ ঝিরঝিরে পাতার জন্য। আপনি রোজ যদি দুধে এই পাতা মিশইয়ে খেয়ে নিতে পারেন, তাহলেই পেটের হাজার এক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। অনেক সময়ে পেটে ব্যথা শুরু হলে আর থামতে চায় না। সেই বিপদে পড়ার আগে এই পাতা খাওয়ার অভ্য়াস করতেই পারেন। ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, নারকোল, আদা দিয়ে একসাথে করে যে চাটনি বানানো হয়, সেটাও খেতে পারেন ভাতে মেখে। তাতে আপনার ধনেপাতা খাওয়াও হবে, আবার শরীরের নানা সমস্যাও আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। আর এতকিছু করতে না পারলে, ধনেপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে প্রতিদিন হাফ গ্লাস জলে দু চামচ করে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে পেট ব্যথা কমে যায় অনেক তাড়াতাড়ি।

কোলেসেটরল কমাতে সাহায্য করে
গবেষণা বলছে এই পাতায় থাকা যৌগ সহজেই কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। যাঁদের কোলেস্টরল বেশি, তাঁরা ধনেপাতা ফুটিয়ে সেই জল রোজ খেলে কোলেস্টরলের সমস্যা অনেকটাই মিটে যায়।

মুখের চামড়ার সমস্যা দূর করে
ধনেপাতা বাটার সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে আপনার ব্রণর উপর লাগালে সহজেই সেগুলোকে আপনি বিদায় জানাতে পারবেন। এছাড়াও এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহজেই মুখের স্কিনের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনার ব্ল্যাকহেডের সমস্যাথাকলেও ধনেপাতা বাটা সেটা থেকে আপনাকে সহজেই রেহাই দিতে পারে। রিঙ্কলফ্রি স্কিন চাইলেও ভরসা করতে পারেন এই পাতার উপর।

কাজেই যাঁরা এখনও এই পাতাকে তার যোগ্য মর্যাদা দেননি, তাঁরা একে জামাই আদর শুরু করতেই পারেন। শুধু ব্যবহারের আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। কারণ এতে মাটি লেগে থাকলে আপনার কোনও কাজই হবে না। বরং সব কাজেই বিপদ বাড়তে পারে। তাই একটু সচেতন হয়ে রোজনামচায় ঢুকিয়ে ফেলুন ধনেপাতা।