আপিল কমিটির কাছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আরাফাত বিল্লাহ খান সহ ১৫ ছাত্রদল নেতার আপিল
এম রহমান ঢাকা থেকে ।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে জাতীয়তাবদী ছাত্রদলের ১৫ জন প্রার্থী আপিল করেছেন। এরমধ্যে সভাপতি পদে ৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন । এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল উপলক্ষে ৭৫ প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৫ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিবাহিত ও অন্যান্য অভিযোগে বাদ পড়েন ২৮ জন।
ছাত্রদলের কাউন্সিলের আপিল কমিটির সূত্রে জানা যায়, প্রার্থিতা পুর্নবহালের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী-আল মেহেদী তালুকদার, মো. আসাদুল আলম টিটু, আজিম উদ্দিন মেরাজ, আরাফাত বিল্লাহ খান, এস এ এম আমিরুল ইসলাম এবং জুয়েল মৃধা।
সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আপিল করেছেন তারা হলেন- সিরাজুল ইসলাম, ফজলুল হক নীরব, এস এম বাবুল আক্তার শান্ত, জুবায়ের আল মাহমুদ রিজভী, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সাদিকুর রহমান সাদিক, জামিল হোসেন,এমদাদুল হক মজুমদার এবং মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
তবে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মো. জুলহাস উদ্দিন এবং মো. জহিরুল ইসলাম (দিপু পাটোয়ারী)
দুজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আপিল প্রসঙ্গে সভাপতি পদে আপিলকারী আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, আমি দলের সাথে কোথাও মিথ্যাচার করিনি। বিয়ের বিষয়ে কিছু গোপন করিনি। আমি বিয়ের পরেই তিনবার গ্রেফতার হয়েছি এবং একাধিকবার আঃলীগ ও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিয়ের পরেই রাজনীতিতে আমার ইতিবাচক অর্জন হয়েছে অনেক। সুতরাং আমি নিজেকে সবসময় যোগ্য প্রার্থী মনে করি। যেহেতু দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এগোচ্ছে তাই আপিল করেছি। তবে আশঙ্কা করছি, কেউ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তার এ ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করে বৈধ প্রার্থীর তালিকায় চলে আসতে পারেন। সেটা যদি হয়ে থাকে তাহলে আমার প্রার্থিতা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছি।
আরেক সভাপতি প্রার্থী আল মেহেদী তালুকদার ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সামনে নিজেকে এখনও অবিবাহিত দাবী করছেন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। আপিল কমিটিতে ন্যায় বিচার পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি ও সহযোগী সংঘঠনের একাধীক ত্যাগী নেতা কর্মী কতৃপক্ষের কাছে আরাফাত বিল্লাহ খানের আপীল আবেদন এর প্রতি সুবিবেচনা করার জোড় দাবী জানীয়ে বলেন সে (আরাফাত বিল্লাহ খান) দলের একজন ত্যাগী এবং পরিক্ষিত নেতা দলের দুসময়ের কান্ডারি এবং বারবার নির্যাতিত নেতা। তার প্রতি সুবিচার করা না হলে অনেক সাংঘঠনিক ত্যাগী নেতা কর্মীদের মন ভেংগে যাবে।