অপরাধ হয়েছে বটে। কিন্তু তা নাকি হয়েছে মহাকাশে! অভিযোগ জমা পড়েছে খোদ নাসার দফতরে। অভিযোগ যে সে নয়। এক্কেবারে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির। মহাকাশ কেন্দ্রে বসে নাকি প্রাক্তন সঙ্গিনীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়েছেন এক মহাকাশচারী। এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে নাসা। চমকে উঠেছে সারা বিশ্বও।

এই প্রথম নাসার দফতরে জমা পড়েছে এমন অভিযোগ। নাসা-র মহাকাশচারিণী অ্যান ম্যাকেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মহাকাশকেন্দ্র থেকে তাঁর সঙ্গিনী সামার ওয়রডেন-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছেন। অভিযোগ সামারের ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেন তিনি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্ত অ্যান অবশ্য দাবি করেছেন, সঙ্গিনীর অ্যাকাউন্ট তিনি দেখেছিলেন ঠিকই কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে নয়। বরং যে শিশুকে তাঁরা যৌথভাবে বড় করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাকে প্রতিপালন করার জন্য সামারের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকাপয়সা রয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন।

গত বছর ৩ ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে যান অ্যানে ম্যাকক্লেইন। এ বছর মার্চ মাসে তাঁর প্রথম ‘স্পেস ওয়াক’ও সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। এই সময়ের মধ্যেই নাসার বিশেষ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সামারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করেছিলেন অ্যানে। পুরোটাই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে বসে। জানা গিয়েছে, পেশায় বায়ুসেনার গোয়েন্দা অফিসার সামার একজন সিঙ্গল মাদার। অ্যানের সঙ্গে পরিচয়ের পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। তবে গত বছর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেছেন অ্যানে এবং সামার।

অ্যানের বিরুদ্ধে আনা সামারের অভিযোগ সত্যি কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। এর আগে মহাকাশে এমন অপরাধ কখনও হয়নি। তাই অতিরিক্ত গুরুত্ব পাচ্ছে এই মামলা। এই মুহূর্তে আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া, জাপান এবং কানাডা-এই পাঁচটি দেশের স্পেস স্টেশন রয়েছে মহাকাশে। যে দেশের স্পেস স্টেশনে বসে এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই দেশের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। গোটা বিষয়ই এখন তদন্তের অধীনে।দ্য ওয়াল