স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে বিদ্যালয়

0
(0)

স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে বিদ্যালয়

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
প্রমত্তা সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির শান্তিহার কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সন্ধ্যার অব্যহত ভাংগনে বিদ্যালয় ভবনটির একপ্রান্ত শূন্যে দাড়িয়ে আছে। ভবনের দেয়ালসহ ফ্লোরের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে । দেবে গেছে একটি রুমের ফ্লোর । বিদ্যালয়ের ৬২ শতাংশ জমির মধ্যে দাড়িয়ে থাকা বিদ্যালয় ভবনসহ সামান্য ভুমি বাদে বাকী ভুমি ী সন্ধ্যার করাল গ্রাসে অতল গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি নদী ভাংগনের ফলে বিদ্যালয় ভবনটির অনেকাংশ শূন্যে দাড়িয়ে আছে। ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাককদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে । এলাকাবাসির গভীর আশংকা যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বিদ্যালয় ভবনটি । ঘটতে পারে প্রানহানীসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মংগলবার কর্তপক্ষের অনুমতিতে পাশর্^বর্তি ১৬২ নং শান্তিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বসে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা দিয়েছে। ১৯৭৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৯৮ সনে ওই পাকা ভবনটি নির্মিত হয়। বিগত দিনে বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী লেখা পড়া করলেও অব্যাহত সন্ধ্যনদীর ভা্গংনের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশীরভাগ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ২৪ জন। ওই বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ সন্ধ্যার গর্ভে হারিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীর সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৯ এপ্রিল পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) মো. জাহিদ ফারুক স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিদ্যালয়টি রক্ষায় জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মাসুম জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তপক্ষ এলাকা পরিদর্শন করে ম্যাপ করে নেন। কিন্তু সন্ধ্যানদীর ভাংগন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার্থে অদ্যাবধি আর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। ইউএনও সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিজাইন করে প্রস্তাবটি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে প্রাক্কলন তৈরি করে টেন্ডারের ব্যবস্থা করা হবে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.