গৌরনদীতে শিক্ষিকা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত
গৌরনদীতে শিক্ষিকা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত
স্টাফ রিপোর্টও,গৌরনদী:
বরিশালের গৌরনদীতে তানিয়া আক্তার (৩৮) নামের এক শিক্ষিকা ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ওই রোগীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু আতংক।
জানাগেছে, পার্শ্ববর্তি মুলাদী উপজেলার রামারপোল ইউনিয়নের কাচির চর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান বেপারীর স্ত্রী এবং ওই উপজেলার সাহেবেরচর রেনেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তানিয়া আক্তার (৩৮) গত এক সপ্তাহ পূর্বে জ্বরে আক্রান্ত হন। এ সময় তিনি স্থানীয় চিকিৎসা নেন। এতে সুস্থ্য না হওয়ায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহাবুব আলম মির্জাকে দেখান। কিন্তু ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু সনাক্তের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় তিনি স্থানীয় যে কোন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে আনার জন্য তার স্বজনদেরকে পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা স্থানীয় একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষা করালে রোগী তানিয়ার ডেঙ্গুজ্বর ধরা পড়ে। এরপর ডাঃ মির্জা তাকে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ব্যাবস্থাপত্র দেন। তবে ডেঙ্গুর ওই পরীক্ষাটি সঠিক কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগীর স্বজনরা বরিশালের এ্যাপোলো ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করান। সেখানেও তার ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত হয়। পরবর্তীতে তারা ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট ও ডাঃ মাহাবুর আলম মির্জার চিকিৎসার ব্যাবস্থাপত্র নিয়ে এলপিআরে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মাহাবুবুর রহমানকে দেখান। তিনি ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট ও ডাঃ মির্জার ব্যাবস্থাপত্র দেখে ওই চিকিৎসাকেই সঠিক চিকিৎসা হিসেবে নিরুপন করে রোগীকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে এসে রোববার সন্ধ্যায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফতে আলী হাসান জানান, ডেঙ্গু নিয়ে আপাতত এলাকাবাসীর আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। এতদিন এই রোগ আমাদের এখানে ছিলই না। এখনও নেই বলেই আমরা জানি। আসপাশের কিছু লোক যারা ঢাকায় যাতায়াত করেন তাদের মধ্যে দু’একজন এ রোগ বহন করে আনছেন। আমরা সতর্ক আছি।