তিন কোটি পাউন্ড দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে লন্ডনে আমিরশাহির রানি

0
(0)

 

সবুজবাংলা ডেস্কঃ সঙ্গে তিন কোটি পাউন্ড আর দুই সন্তান নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে আশ্রয় নিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রানি হায়া বিন্ত আল হুসেন। হায়া আমিরশাহির প্রধানমন্ত্রী তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ পত্মী। তবে সম্প্রতি তাঁদের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পথে বলে শোনা যাচ্ছে। লন্ডনে নতুন করে জীবন শুরু করতে চান হায়া।দুবাইয়ের প্রবল প্রতাপ ও বিত্তশালী শাসকের ষষ্ঠ স্ত্রী এ ভাবে পালিয়ে যাওয়ায় বিস্মিত আরব দুনিয়া। হায়া সঙ্গে নিজের দুই সন্তান ১১ বছরের জলিলা ও সাত বছরের জ়ায়েদকে নিয়ে গেছেন। তিনি প্রথমে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁকে দুবাই থেকে সকলের অগোচরে জার্মানিতে পালাতে সাহায্য করেন এক জার্মান কূটনীতিক। জার্মানিতেই হায়া প্রথমে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য জার্মানির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন মহম্মদ রশিদ আল মাকতুম। কিন্তু তাতে জার্মানি রাজি হয়নি।আমিরশাহির এই রানি হায়া অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। সম্পর্কে তিনি জর্ডনের রাজা আবদুল্লার সৎ বোন। হায়া বেশ কিছুদিন ধরেই দুবাইয়ের এই শাসকের কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চাইছিলেন। গত ২০ মে থেকে হায়াকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর দেখা যায়নি।আল মাকতুমের স্ত্রী-ই শুধু নয়, তাঁর অন্য পক্ষের এক মেয়ে লতিফাও দুবাই ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে তিনি ধরা পড়ে যান। তার পর থেকে লতিফাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। শোনা যায় বাবা আল রশিদ মাকতুমের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই লতিফা পালাচ্ছিলেন। আরব মুলুকের মানবাধিকার কিছু সংগঠনের দাবি, লতিফাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘ডিটেনড ইন দুবাই’-এর কর্ণধার রাধা স্টারলিং বলেন,  বাবার হাতে অত্যাচারিত হয়েই বাইরে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন লতিফা। আল রশিদ মাকতুমের স্ত্রী-ও সেই কারণেই পালিয়েছেন।আরব দুনিয়া থেকে পালাতে চাওয়া মেয়েদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কেউ কেউ স্বাধীন ও সম্মানজনক জীবন পেতে অসম্ভব ঝুঁকি নিয়ে অন্য দেশে পালাচ্ছেন। কেউ কেউ পারছেন সেই স্বপ্ন পূরণ করতে। কিন্তু অনেকেই ধরা পড়ে যাচ্ছেন নিজের পরিবার ও পুলিশের হাতে। তার পর তাঁদের জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার পর আর তাঁদের কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সেটাই উদ্বেগজনক।

 

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.