অবশেষে আদালতের নির্দেশে আগৈলঝাড়ায় বেতন পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা

0
(0)

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল
আদালতের নির্দেশে আগৈলঝাড়ায় দপ্তরী কাম প্রহরী কর্মচারীদের বেদন ভাতা প্রদানে আইনী প্রতিবন্ধকতা অপসার করেছে। ফলে ভুক্তভোগী ওই সকল কর্মচারীরা তাদের ১৩মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, আউট সোর্সি এর মাধ্যমে সরকার আগৈলঝাড়া উপজেলার ৪১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল নিয়োগ কমিটির শুপারিশে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে কর্মচারীদের নিয়োগপ্রত্র প্রদান করেন।
নিয়োগপত্র পেয়ে ওই বছর ২৬ এপ্রিল কর্মচারীরা কর্মস্থলে যোগদান করলেও নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ও নিয়োগ সংশ্লিষ্ঠ সরকারী ১১জন পদস্থ কর্মকর্তাকে বিবাদী করে বরিশাল সহকারী বিজ্ঞ জজ আদালতে পৃথক আটটি মামলা দায়ের হয়।
মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ আদালত ওই বছর ৩০মে বাদী পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে স্থিতিঅবস্থা জারির নির্দেশ প্রদান করেন। একই আদালত ১৯জুন (বুধবার) ৩৯,৪০,৪১, ৪২/১৮ নং মামলায় দোতরফা সূত্রে শুনানী শেষে বাদী পক্ষের স্থিতি অবস্থার নির্দেশের আবেদন না মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞ আদালতের এই মানবিক নির্দেশনার ফলে আর্থিক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপনকারী ৩৬নং কদমবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী কিরন অধিকারী, ৫০নং চক্রিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী আইউব খান, ৪১নং জয়রামপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী মোঃ মাসুদ দাড়িয়া ও ৪৭নং দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী মিরাজ হাওলাদাররে ১৩ মানের বেতন ভাতা প্রদানে সরকারের প্রতিবন্ধকতা অপসারন হয়েছে।
এর আগে ১৩ জুন ভুক্তভোগী চার কর্মচারী অর্থ কস্টের মানবেতর জীবন যাপন থেকে উত্তরনের জন্য তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতা পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বরাবরে লিখিত আবেদন করলে নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদারকে বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার ভুক্তভোগীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিজ্ঞ আদালতের নজরে আনেন। বিজ্ঞ আদালত দুই পক্ষের শুনানী শেষে বুধবার (১৯জুন) উল্লেখিত আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে উল্লেখিত চার কর্মচারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আদালতের নির্দেশিত কাগজ সম্বলিত তাদের ১৩ মাসের বকেয়া বেতন ভাতাসহ আনুসাঙ্গিক আর্থিক সুবিধা পাবার জন্য পৃথক চারটি আবেদন করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার কর্মচারীদের আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অফিসিয়াল কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো শেষ করে খুব শিঘ্রই কর্মচারীদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.