ইলিশের দেশে ইলিশের আকাল
সবুজবাংলা ডেস্কঃ
মৎস্য বিভাগের মতে, গত ১ জুন থেকে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে। সাগরে মাছ ধরায় রয়েছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা। তাই জেলেদের আকাল দূর হচ্ছেনা।জেলেরা মেঘনা ও সাগর মোহনায় জাল ফেললেও ইলিশের দেখা মিলছে না
জেলেরা জানান, ইলিশ ধরা পড়ছে না শুনে জেলেরা মেঘনায় নামছেন না। কেউ কেউ মহাজন, এনজিও এবং মাছঘাট মালিকদের কাছ থেকে দাদন নেয়া শুরু করেছেন।
সূত্রমতে, চাঁদপুরের দক্ষিণে নীলকমলের শেষ সীমান্তে বিশাল মেঘনার বরিশাল অংশের শুরু বঙ্গেরচর থেকে। ভোলার মনপুরা উপজেলার চরনিজামে গিয়ে মেঘনা মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। দীর্ঘ ওই ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মেঘনার গভীরতা ও প্রশস্ততা বেশি। বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুরের হাইমচর, নোয়াখালীর হাতিয়ার হাজার হাজার জেলের বিচরণ ভূমি মেঘনার ওই এলাকা। মেঘনার তীরে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক মাছ ঘাট। জেলেরা ধার-দেনা করে দিন কাটাচ্ছেন। জেলেদের আশা আগামী পূর্ণিমার ঢলে হয়তোবা ইলিশ ধরা পড়বে।
বরিশালের ইলিশ মোকামের আড়তদাররা জানান, সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং মেঘনাসহ উপকূলের নদীগুলোতে মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশ মিলছে না। বরিশাল মোকামে বর্তমানে গত বছরের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ ইলিশও আসছেনা। এ কারণে দামও অনেক বেশী।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাগর মোহনা থেকে মেঘনায় অসংখ্য ডুবোচর জেগেছে। ফলে ডিম ছাড়ার সময়ে ইলিশের ঝাঁক ডুবোচরে বাঁধা পেয়ে আবার সাগরে ফিরে যাচ্ছে। যে কারণে মেঘনায় ইলিশ মিলছে না। এছাড়াও বর্ষা আসতে দেরি হওয়ায় নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না।