মোদী কতদূর ‘মুমকিন’ এবার দেখব আমেরিকার বিদেশ সচিব
সবুজবাংলা ডেস্ক: ভোটের আগে বিজেপি স্লোগান দিয়েছিল, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। তার মানে, মোদী থাকলে সবই সম্ভব। বৃহস্পতিবার সেই স্লোগানটিই ঘুরিয়ে উল্লেখ করলেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও। তিনি বললেন, আমেরিকা ও ভারতের মানুষের মধ্যে কতদূর কী করা সম্ভব, তা এবার দেখব। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উচ্চতর স্তরে তুলে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে। কিছুদিনের মধ্যেই ভারত সফরে আসছেন পম্পিও। বুধবার ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোটের প্রচারের সময় বলেছিলেন, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। আমি দেখতে চাই, দুই দেশের মধ্যে কতদূর কী করা সম্ভব হয়।আসন্ন ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি দিল্লিতে গিয়ে মোদী ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দেখা করব। আমার কয়েকটি ‘বিগ আইডিয়া’ আছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আমরা উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাব। আগামী ২৪ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে পম্পিও ভারত, শ্রীলঙ্কা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন।পম্পিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নিয়ে জানিয়েছে, তারা যদি সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, কখনই মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের নতুন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর একসময় আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাঁর কথা উল্লেখ করেন পম্পিও। জয়শংকর এপ্রিলেই বলেছিলেন, তিনি আমেরিকার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চান। পম্পিও এদিন বলেন, আমরাও তাই চাই। সেজন্য গত বছরেই আমাদের প্রতিরক্ষা দফতরের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের কথা হয়েছিল।ভারতের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সার্বভৌম শক্তি হিসাবে আমরা তাদের সম্মান করি। তার সামনে কয়েকটি রাজনৈতিক ও কৌশলগত চ্যালেঞ্জ আছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল গণতান্ত্রিক দেশ এবং প্রাচীনতম গণতান্ত্রিক দেশ যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে অনেকাংশে একমত হবে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।দ্যা ওয়াল