চিনের এক ব্যবসায়ী বিএমডব্লিউতে তেল ভরতে হাস মুরগি চুরি করতেন
সবুজবাংলা ডেস্ক: কথায় বলে হাতি কেনা সহজ। কিন্তু হাতি পোষা বড় কঠিন। এ কথা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন চিনের লিনশুইয়ের সিঞ্চুয়ান প্রদেশের এক ব্যবসায়ী।
বড় ব্যবসা তাঁর। পয়সাকড়িও ভালই। তাই শখ করে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে বিএম ডব্লিউ কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু আন্দাজ ছিল না এত তেল লাগে। গাড়ি কিনে তো আর তা ফেলে রাখা যায় না। তেলের পয়সা জোগাড় করতে তাই মাথায় হাত পড়ে যায় এই চিনা ব্যবসায়ীর। উপায় তো একটা কিছু বার করতে হবে! করেওছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস ওই ফর্মুলাতে চললেও, অবশেষে ধরা পড়ে যেতে হল।
সিঞ্চুয়ানের এক পোলট্রি মালিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল বিএমডব্লিউ-এর মালিকের। প্রায়ই যেতেন ফার্মে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ওই পোলট্রি মালিক খেয়াল করছেন, ওই ভদ্রলোক যে দিন আসেন, সে দিনই কমে যায় মুরগি এবং হাঁস। কিন্তু এতদিনের বন্ধুকে তো আর দুম করে চোর বলে দেওয়া যায় না। অপেক্ষা করছিলেন। কবে সুযোগটা আসে। হাতেনাতে ধরবেন।
এই করতে করতে চলতি সপ্তাহের এক দিন ওই পোলট্রি মালিকের ফার্মে যান বিএম ডব্লিউর মালিক। কর্মচারীরা বলেন, মালিক নেই। ব্যস! সেই শুনেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় আরও। পুরোটাই ছিল পাকড়াও করার কৌশল। ফার্মে ঢুকে হাঁস-মুরগি নিয়ে বেরোতে যাওয়ার মুখেই পোল্ট্রি মালিক এসে পড়েন। কার্যত ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান বিএমডব্লিউর সওয়ার।
ডাকা হয় পুলিশ। ধরা হয় ‘মুরগি চোর’ বিএমডব্লিউর মালিককে। জুয়ান প্রদেশের পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ওই ব্যক্তি গাড়ির তেলের টাকা জোগাড় করতেই যে হাঁস-মুরগি চুরি করত তা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন।” তবে পুরনো খাতিরের কথা মাথায় রেখেই ওই পোল্ট্রি মালিক পুলিশকে অনুরোধ করেছেন, যাতে জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। সৌজন্যে দ্যা ওয়াল ব্যুড়ো