ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হতে পারেন রঘুরাম রাজন
সবুজবাংলা ডেস্ক: ব্রেক্সিটের জেরে পদ হারাতে চলেছেন ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের বর্তমান গভর্নর মার্ক কারনি। তাঁর বদলে বেশ কয়েকজনের নাম ভাবা হয়েছে ৩২৫ বছরের প্রাচীন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে। তাঁদের মধ্যে একজনই আছেন যিনি ব্রিটিশ নাগরিক নন। তিনি হলেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান রঘুরাম রাজন।
ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক নীতি নির্ধারণে ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। মার্ক কারনির ওপরে ব্রিটেনের রক্ষণশীল রাজনীতিকরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। অভিযোগ, তিনি দেশের আর্থিক দুর্দশার কথা বাড়িয়ে বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলে ব্রিটেন যে নানাভাবে লাভবান হয়, সেকথা মানতে চাননি।
ব্রেক্সিট পর্বে ব্রিটেনের অর্থনীতি নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন রাজন। তাঁর মতে, হতাশা থেকেই ব্রিটেনের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু ব্রিটেনের অর্থনীতিকে যদি সফল হতে হয়, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত থাকতেই হবে।
ডার্টমাউথ কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক ও ব্যাঙ্ক ওব ইংল্যান্ডের প্রাক্তন পলিসি মেকার ডেভিড ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন, যাঁদের নাম ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী গভর্নর হিসাবে ভাবা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে খুব উল্লেখযোগ্য কেউ নেই। তাঁদের মধ্যে রঘুরাম রাজনের যোগ্যতাই সবচেয়ে বেশি। ৫৬ বছর বয়সী রাজন এখন শিকাগো বুথ স্কুল অব বিজনেসে অধ্যাপনা করেন। তিনি এসম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। ইউকে ট্রেজারি ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী গভর্নর নিয়োগ করবে। তারাও জানায়নি, ওই পদের জন্য কে কে আবেদন করেছেন। রাজকোষের চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, পরবর্তী গভর্নরকে নিয়োগ করার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞদের কথা ভাবতে হবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হওয়ার জন্য যা যোগ্যতা প্রয়োজন, সবই রঘুরাম রাজনের আছে। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আইএমএফের চিফ ইকনমিস্ট ছিলেন। পরে ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হন। ২০১৩ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরও হয়েছিলেন। এর পরে তিনি ভারতে মুদ্রাস্ফীতির সর্বোচ্চ লক্ষমাত্রা বেঁধে দেন। অনাদায়ী ঋণ আদায়ের চেষ্টা করেন। তবে অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য সরকারের কোনও কোনও মহল থেকে তাঁর সমালোচনাও করা হয়েছিল। সৌজন্যে দ্যা ওয়াল ব্যুড়ো