মহারাষ্ট্র ! পানীর জন্য হাহাকার তেষ্টা মেটাতে কুয়োতে পড়ে মহিলার মৃত্যু

0
(0)

সবুজবাংলা ডেস্ক: রোদের তেজে চাষের জমি ফুটিফাটা। বৃষ্টির অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্য। তেষ্টায় ছাতি ফাটছে, তবু বর্ষার দেখা নেই। যত দিন যাচ্ছে তীব্র হচ্ছে জলসঙ্কট। এক ফোঁটা পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে মহারাষ্ট্রের প্রত্যন্ত এলাকাগুলি। এরই মাঝে খবর মিলল তেষ্টা মেটাতে গিয়ে যবতমলে কুয়োতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। ঘটনার প্রতিবাদে জলের চাহিদা মেটাতে সরকারের সাহা্য্য চেয়ে পথ অবরোধ এলাকাবাসীর।

মালেওয়াড়ির মহাগাঁও তেহসিলে এই ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তেহসিলের বেশিরভাগ ঘরেই জল নেই। বহু দূর থেকে তেষ্টার জল বয়ে আনতে হচ্ছে। তীব্র দাবদাহের কারণে সেটাও প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। তেষ্টায় গলা-বুক কাঠ হয়ে গেলেও উপায় নেই। বেঁচে থাকার চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত।

মহাগাঁও থানার ইনচার্জ দামোদর রাথোড়ের কথায়, ৪৫ বছরের ওই মহিলা বিমল রাথোড় গ্রামেরই একটি কুয়োতে জল খুঁজতে গিয়েছিলেন এ দিন বেলার দিকে।  শরীর দুর্বল থাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ৪০ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়।  জলের অভাব মেটাতে অবরোধ শুরু করেন এলাকাবাসী। শেষে তেহসিলদার, স্থানীয় বিডিও এবং পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গোটা দেশেই গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টি-ঘাটতি এলাকার তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। তরতরিয়ে বেড়ে চলেছে খরাকবলিত এলাকার আয়তন। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত এবং ওড়িশার বহু এলাকা ইতিমধ্যেই খরা কবলিত। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেছেন। রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলাকেই খরা কবলিত বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। জলের অভাবে চাষাবাদের অবস্থাও তথৈবচ।  গত বছরের তুলনায় এ বছর মহারাষ্ট্রে ৩৬ শতাংশ গ্রীষ্মকালীন ফসল কম রোপণ হয়েছে। সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানাতেও। সৌজন্যে দ্যা ওয়াল ব্যুড়ো

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.